টাঙ্গাইল: ছাত্রীদের নানা রকম আপত্তিকর মন্তব্য করায় এক শিক্ষককে মারধর করেছে টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১ অক্টোবর) সকালে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে এক বছরের সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযুক্ত শিক্ষক বিদ্যালয়ের সহকারী ইংরেজি শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবুল। তিনি কালিহাতী উপজেলার পারখী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সায়েদুর রহমান এ তথ্যটি জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই ক্লাসের ছাত্রীদের অশালীন মন্তব্য করে আসছিল শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবলু। রবিবারও নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অশালীন মন্তব্য করেন ওই শিক্ষক। এই বিষয় নিয়ে ওইদিনই সব শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ছাত্রীদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্বাক্ষর নেন। স্কুল ছুটি শেষে ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকদের জানালে সোমবার সকালে অফিস কক্ষের বিদ্যালয়ের সহকারী ইংরেজি শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবুলকে অবরুদ্ধ করে রাখে। অবস্থা বেগতিক দেখে শিক্ষক সাঈদুর কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে। পরে বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও অভিভাবকরা সাঈদুরকে ধরে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযুক্ত সাঈদুর রহমান বাবুল ও প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার জানান, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সাঈদুর রহমান বাবুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’
টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সায়েদুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। পরে দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান তাকে এক বছরের সাজা দেন।