টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসটার্মিনাল সংলগ্ন লেকপাড়ে স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। বখাটেরা ওই নারীকে শহরের একাধিক স্থানে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার ভোরে পৌর এলাকার চরজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে দুই বখাটেকে আটক এবং ওই নারীকে উদ্ধার করে।
সকালে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত আরো চারজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজন শনিবার সন্ধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকী তিনজনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই নারী মির্জাপুরের গোড়াইয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তার স্বামী ওই এলাকায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। তাদের গত ১০মাস আগে বিয়ে হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ওই নারী তার স্বামীকে নিয়ে কালিহাতীর বাবার বাড়ি থেকে মির্জাপুর কর্মস্থলে ফিরছিলেন। কালিহাতী থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে তারা রাত ১০টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসটার্মিনালে এসে নামেন। এ সময় তিন বখাটে ওই নারীর স্বামীকে ডেকে দূরে নিয়ে বেদম মারপিট করে আটকে রাখে।
অন্যদিকে দলের কয়েকজন ওই নারীকে জোরপূর্বক লেকের পাড়ে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তারা ওই নারীকে অপর বখাটেদের হাতে তুলে দেয়। তারা তাকে কোদালিয়া এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই নারীর স্বামী রাত ১২টার দিকে বখাটেদের কবল থেকে কৌশলে পালিয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় গিয়ে ওসির কাছে ঘটনা খুলে বলেন। পরে পুলিশের চারটি দল বিভক্ত হয়ে শহরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে নারীকে উদ্ধারসহ ধর্ষণের সাথে জড়িত অভিযোগে মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, শহরের কোদালিয়ার আলমগীর হোসেনের ছেলে ইউসুফ, আব্দুর রশিদের ছেলে রবিউল ইসলাম রবিন, ফজলু মিয়ার ছেলে মফিজ, রকিবুল ইসলামের ছেলে তানজিরুল ইসলাম তাছিন, দেওলার আবুল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও বিশ্বাস বেতকার বাদশা মিয়ার ছেলে ইমন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ইউসুফ, রবিন ও মফিজ ধষর্ণের কথা স্বীকার করেছে। উজ্জল ও হাসান নামে তাদের দুইজন সহযোগীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।