টাঙ্গাইল থেকে : প্রেমের টানে নেপালি তরুণী সানজু কুমারী খাত্রী (২০) টাঙ্গাইলের সখীপুরে সংসার করতে এসেছেন। প্রায় চার বছর ধরে মালয়শিয়ার একটি কম্পানিতে কাজ করার সময় একে অপরের সাথে চেনা জানা ও ভালোবাসা। উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দূর্গপুর গ্রামের হুমায়ূন মিয়ার ছেলে নাজমুল ইসলাম (২৫) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
পনের দিন আগে সানজু নেপাল থেকে নাজমুলের সাথে বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছে ওই পরিবার। এ সংবাদ শুনে তাদের দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঙালি তরুণীর মতো পোশাক পরে স্বাভাবিক কাজ-কর্ম করছেন নেপালি ওই তরুণী। হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সানজু কুমারী থেকে তার নাম রেখেছেন খাদিজা আক্তার।
তিনি বাঙালি আচার-আচারণ ও পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করলেও ভাষাগত কিছু সমস্যায় আছেন। মেয়েটি বাংলা ভাষা বুঝে কিন্তু বলতে কিছুটা সমস্যা হয় বলে জানান নাজমুল। নেপালি আদালতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তারপর টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কোর্ট মেরেজ করেন এবং স্থানীয় এক নিকাহ রেজিস্টার দিয়ে বিবাহ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
নেপালের কাঠমান্ডু শহরেই মেয়েটির বাড়ি। সেখান থেকে পারিবারিক সম্পর্ক ছি'ন্ন করে নাজমুলের হাত ধরে বাংলাদেশে আসেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নে খাদিজা আক্তারের নেপালি ভাষার অনুবাদ করে নাজমুল বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও গ্রাম্য পরিবেশ আমার কাছে ভালো লেগেছে। নাজমুলকে অনেক ভালোবাসি। আমি আর নেপালে ফিরে যাব না।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ''একটি হিন্দু মেয়ে ভালোবেসে মুসলমান হয়ে আমাকে বিয়ে করেছে এবং দেশ ত্যাগ করে বাংলাদেশে এসেছে। আমি ওর প্রতি কৃতজ্ঞ। সবার কাছে আমাদের জন্য দোয়া চাই।'' নাজমুলের বাবা হুময়ূন মিয়া বলেন, ''ছেলের বউ দেখে আমরা খুব খুশি হয়েছি। ওদের আনন্দেই আমরা আনন্দিত।''