মির্জাপুর (টাঙ্গাইল): ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এইচ ই রোবার্ট চেটারটন ডিকসন বলেছেন, বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ। এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির বড় উদাহরণ দূর্গা উৎসব। শারদীয় দুর্গা উৎসব অনেক সুন্দর এবং দর্শনীয় অনুষ্ঠান। এদেশের মানুষ তাদের ধর্মীয় উৎসবটি সুন্দরভাবে অনুশীলন করছে। এদেশের হিন্দু মুসলমান একে অপরকে সহযোগিতা ও সম্প্রীতিতে বসবাস করে।
রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় ডেপুটি হাইকমিশনার জাবেদ প্যাটেল উপস্থিত ছিলেন।
রোবার্ট চেটারটন করোনাভাইরাস সংক্রমণ সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি অনেক ভালো। এদেশের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্তের হিসেবে সুস্থতার হার অনেক বেশি। এদেশে থেকে আমি করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হইনি। এদেশে বাস করতে আমার ভালো লাগার পেছনে এটিও একটি কারণ।
দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার পূজার আয়োজন দেখতে হাইকমিশনার এইচ ই রোবার্ট চেটারটন ডিকসন ও ডেপুটি হাইকমিশনার জাবেদ প্যাটেল রবিবার সকাল পৌনে ১০টায় মির্জাপুর কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌঁছান। সেখানে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. জুবায়ের হোসেন, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর রহমান, কুমুদিনী হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. আলী এহসান ও সহকারি মহাব্যবস্থাপক অনিমেষ ভৌমিক তাদের স্বাগত জানান।
কুমুদিনী লাইব্রেরিতে চা চক্র শেষে হাই কমিশনার কুমুদিনী হাসপাতাল, নাসিং স্কুল এন্ড কলেজ ও ভারতেশ্বরী হোমস পরিদর্শন শেষে ডিঙ্গি নৌকায় লৌহজং নদী পার হয়ে রণদা প্রসাদ সাহার পূজা মন্ডপে যান। সেখানে কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা, পরিচালক শ্রীমতি সাহা, পরিচালক (শিক্ষা) প্রতিভা মুৎসুদ্দি, পরিচালক সম্পা সাহা তাদের স্বাগত জানান।
পরে হাইকমিশনার পায়ে হেটে মির্জাপুর গ্রামের কয়েকটি পূজা মন্ডপও পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন মন্ডপের পুজারিদের সঙ্গে কথা বলেন। তার সঙ্গে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা, আব্দুল হালিম, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদিপ কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার বলেন, দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার গ্রাম ঘুরে আমার খুব ভালো লেগেছে। এখানকার মানুষ অত্যন্ত চমৎকারভাবে দুর্গা পূজা পালন করছে।
রোবার্ট চেটারটন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা। এ সমস্য নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এই সমস্যা সমাধানে ব্রিটিশ সরকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে বলে তিনি জানান। বিকেল তিনটায় কুমুদিনী লাইব্রেরিতে চা চক্র শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।