এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিয়ের দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক কলেজছাত্রী। এ ঘটনার পর পালিয়েছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লাল মিয়াকে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে দ্বিতীয়বারের মতো অবস্থান নিয়েছেন তিনি। এ ঘটনার পর থেকে লাল মিয়ার স্ত্রী ও শাশুড়ি বারান্দায় তালা দিয়ে ঘরে অবস্থান করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাত বছর আগে বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লাল মিয়ার সঙ্গে ওই কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে শা'রী'রিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরে তরুণী বিয়ের তাগিদ দিলে টালবাহানা করতে থাকেন লাল মিয়া। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে ওই ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও বিয়ে করেননি লাল মিয়া।
গত ২৩ জুলাই সকালে বিয়ের দাবিতে লাল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেন ওই কলেজছাত্রী। এসময় লাল মিয়ার স্ত্রী ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে দেন। স্থানীয়দের চাপে লাল মিয়া ওই ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে মোটরসাইকেলযোগে বের হন। পরে আর বিয়ে করেননি।
শনিবার বিকেলে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে লাল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেন। এসময় বারান্দায় তালা দিয়ে ঘরে অবস্থান নেন লাল মিয়ার স্ত্রী ও তার মা। বাধ্য হয়ে উঠানে বসে রাত অতিক্রম করেন ওই তরুণী।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে লাল মিয়ার ফোনে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বলেন, ‘সারারাত উঠানে বসে রাত কাটিয়ে দিয়েছি। মশার কামড় খেয়েছি। স্থানীয়রা আমার এই অবস্থা দেখতে এসেছেন। তবে কেউ সমাধান করেননি। আমি লাল মিয়াকে স্বামী হিসেবে পেতে চাই।’
বাঁশতৈল ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ান বলেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। সালিশে বিয়ে করতে রাজি হলেও পারিবারিক চাপে এড়িয়ে চলছেন লাল মিয়া।
বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর দুলাল আকন্দ জানান, লাল মিয়ার সঙ্গে কলেজছাত্রীর ৬-৭ বছরের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জেনেছেন। তবে এ বিষয়ে কেউ পুলিশের সহায়তা চাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।