এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের স্বামীর পাঠানো ৬০ লাখ টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকারসহ সন্তান নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও হয়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী।
এ ঘটনায় স্ত্রী ও পুত্রকে পাওয়ার আশায় দেশে ফিরেছেন স্বামী টুটুল মিয়া। তবে এ ঘটনায় মামলার ২৯ দিনেও স্ত্রী-সন্তানকে খুঁজে পাননি তিনি।
টুটুল মিয়া জানান, তার গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার নরদানা গ্রামে। প্রায় ১০ বছর আগে একই উপজেলার মহদীনগর গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের মেয়ে সালমা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের এক পুত্র সন্তান হয়। পরিবারের খরচ যোগাতে স্ত্রী-পুত্রকে বাড়িতে রেখে তিনি সৌদি আরবে চলে যান। বিদেশ থেকে এ পর্যন্ত তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৬০ লাখ টাকা পাঠান। এছাড়া বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠান। তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে তার স্ত্রী সালমা আক্তার নরদানা গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে বখাটে আব্দুল কাদের মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
তিনি আরও জানান, বিদেশ থেকে পাঠানো তার সমস্ত টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে স্ত্রী সালমা আক্তার তার বাবার বাড়িতে পাকা ঘর ও জমি ক্রয় করেছে। এছাড়া সালমার ভাইয়ের জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। তার পাঠানো টাকা দিয়ে প্রেমিক আব্দুল কাদের মিয়ার বাড়িতে পাকা ঘরসহ তাকে বরাটী বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে দেন সালমা। কৌশলে তার জমানো সব টাকা নেওয়া শেষ হলে ৫ বছরের ছেলেকে গত ১৮ মার্চ সালমা আক্তার প্রেমিক আব্দুল কাদেরকে নিয়ে পালিয়ে যান।
জানা যায়, টুটুল মিয়া বিদেশ থাকায় তার বোন তাসলিমা আক্তার বাদী হয়ে সালমার বাবা ছানোয়ার হোসেন, মা লাখী বেগম ও ভাই ইমনের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন করেন। মামলার ২৯ দিন পার হলেও পুলিশ সালমা ও ছেলেকে উদ্ধার করতে পারেনি। এছাড়া প্রেমিক প্রতারক আব্দুল কাদেরও গ্রেফতার হয়নি।
মামলার বাদী তাসলিমা আক্তার বলেন, আমার ভাই বিদেশ থাকায় আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। ভাইয়ের প্রায় ৬০ লাখ টাকা, বিপুর পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও ৫ বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে তার স্ত্রী সালমা আক্তার প্রেমিক আব্দুর কাদেরের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। স্ত্রী ও শিশু পুত্রের শোকে ভাই এখন দেশে এসেছেন। আমরা পুলিশের কাছে ন্যয় বিচার দাবি করছি।
এ প্রসঙ্গে পালিয়ে যাওয়া সালমা আক্তার ও তার প্রেমিক আব্দুল কাদেরের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, থানায় অভিযোগ হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।