এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের সখীপুরে মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে এএইচসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সেই দুই ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছরের গত ৩ জুলাই সকালে সায়মা ও লাবনী নামের দুই পরীক্ষার্থী মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেন। গত ২ জুলাই দিনগত রাতে পৃথক জায়গায় এ হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।
সায়মা আক্তার উপজেলার হাতিয়া গ্রামের রায়হান খানের মেয়ে। লাবনী আক্তার কচুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার মেয়ে।
সায়মা আক্তার হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী এবং সখীপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
অন্যদিকে লাবনী আক্তার সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ কেন্দ্রে।
দুই পরীক্ষার্থীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুলাই দিনগত রাত ৩টার দিকে সায়মার মা শিল্পী আক্তার (৪০) নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান লাবনীর মা সফিরন বেগম (৪৫)।
সায়মা ও লাবনী দুজনই পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান। মায়ের মৃত্যুতে তারা ভেঙে পড়লেও আত্মীয়-স্বজন ও শিক্ষকদের সাহচর্যে পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে আসেন তারা।
হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন বলেন, ‘সায়মার মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ঘটনাটি সত্যিই হৃদয়বিদারক। আল্লাহ যেন তাকে শক্তি দেয়। সে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৩.৭৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।’
সানস্টার ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ নাছির উদ্দিন বলেন, ‘লাবনীর মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি মানসিকভাবে অনেক কঠিন ছিল। তবুও ও যে সাহস দেখিয়েছে, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সে জিপিএ-৪.৫৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।’