বুধবার, ০৬ এপ্রিল, ২০১৬, ০২:৩২:০৭

এমপি রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

এমপি রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

টাঙ্গাইল: নিজ দলের এক নেতা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের এমপি আমানুর রহমান খান রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. আমিনুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

তদন্ত শেষে গত ৩ ফেব্রুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশ এই মামলায় অভিযোগপত্র দেয়। এতে আমানুর ও তার তিন ভাইসহ মোট ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগপত্রে ৩৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

রানা টাঙ্গাইল-৩ আসনে (ঘাটাইল) আওয়ামী লীগের এমপি। তার তিন ভাই হলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান (মুক্তি), ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান (কাকন) ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান (বাপ্পা)।

অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন এমপির ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির হোসেন, আনিছুল ইসলাম (রাজা), মোহাম্মদ আলী, সমীর, ফরিদ আহমেদ, আমানুরের দারোয়ান বাবু, যুবলীগের তৎকালীন নেতা আলমগীর হোসেন (চাঁন), নাসির উদ্দিন (নুরু), ছানোয়ার হোসেন ও সাবেক পৌর কমিশনার মাছুদুর রহমান।

আসামিদের মধ্যে রাজা, মোহাম্মদ আলী, সমীর ও ফরিদ কারাগারে আছেন। এমপি আমানুর, তার তিন ভাইসহ ১০ আসামি পলাতক। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা খুবই কৌশলী হওয়ায় তাদের দীর্ঘদিনেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়ার বাসার সামনে পাওয়া যায়। তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি কোনো আসামির নাম উল্লেখ করেননি। প্রথমে থানার পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত শুরু করে। মামলার তদন্তে এই হত্যায় খান পরিবারের সদস্যদের জড়িত থাকার তথ্য বের হয়ে আসে।

নিহত ফারুক ছাত্রজীবনে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। একাত্তরে মুক্তাঞ্চল থেকে প্রকাশিত রণাঙ্গন নামের একটি পত্রিকার সহসম্পাদক ছিলেন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ‘প্রতিরোধ যুদ্ধে’ অংশ নিয়ে পঙ্গু হন তিনি।
০৬ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে