সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ০৭:১৬:৪৩

টাঙ্গাইলে নির্মিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ২০১ গম্বুজ জামে মসজিদ, শরিক হউন আপনিও

টাঙ্গাইলে নির্মিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ২০১ গম্বুজ জামে মসজিদ, শরিক হউন আপনিও

টাঙ্গাইল: বাংলাদেশসহ বিশ্বের মসজিদের ইতিহাসে জায়গা করে নিতে যাচ্ছে নির্মাণাধীন ঐতিহাসিক ২০১ গম্বুজ মসজিদ, নির্মাণাধীন এ ২০১ গম্বুজ মসজিদে থাকবে বিশ্বের বেশি সংখ্যক গম্বুজ ও ৪৫১ ফুট উচুঁ একটি মিনার। যা একটি বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করে গিনেস রেকর্ড বুকে নাম লেখাবে, শুধু তাই আল্লাহর ঘর এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি বাংলাদেশকে মুসলিম বিশ্বে নতুন করে পরিচিত করে তুলতে সহায়ক হবে এবং প্রচুর বিদেশি পর্যটক, ওলি আউলিয়ার আগমন ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে ।  
বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যাগে মসজিদটি নির্মিত হচ্ছে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে ।
বাংলাদেশের ২০১ গম্বুজ মসজিদের পাশেই ৪৫১ ফুট/১৩৮ মিটার ৫৬ তলা উচ্চ বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মিনারটি হবে বিশ্বের সবচাইতে উচু ইটের তৈরি মিনার! বাংলাদেশের সর্বোচ্চ  উঁচু এই মিনারে ৫০ তলা পর্যন্ত থাকবে লিফটের সুবিধা!  বিশ্বের সবচাইতে উচু ইটের তৈরি মিনারটি বর্তমানে রয়েছে ভারতের দিল্লির কুতুব মিনার যার উচ্চতা ৭৩ মিটার = ২৪০ ফিট , আর বিশ্বের সর্বোচ্চ মিনারটি মরক্কোর কাসাব্লাংকায় দ্বিতীয় হাসান মসজিদে অবস্থিত। এর উচ্চতা ২১০ মিটার (৬৮৯ ফুট) তবে এটি ইটের তৈরি নয় ।
১৫ বিঘা জমির উপর নির্মাণাধীন মসজিদের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই ৮০% শেষ হয়েছে, শীঘ্রই শুরু হবে মসজিদের কারুকাজ,  নির্মাণাধীন অবস্থায়ই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় শুরু হয়েছে।  বাংলাদেশ ও বিশ্বের ইতিহাসে এত বেশি গম্বুজ বিশিষ্ট কোনো মসজিদ এর আগে নির্মাণ করা হয়নি। নির্মাণাধীন এ ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদে থাকবে অত্যাধুনিক সব সুবিধা। মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

২০১ গম্বুজ মসজিদ ভিতরে দেখতে কেমন হবে ?
২০১ গম্বুজ মসজিদে দেয়ালে পিতল দিয়ে লেখা হবে পূর্ণ পবিত্র কোরআন শরীফের ৩০ পারা , তাই এই মসজিদে প্রবেশ করলে কোন কোরআন শরীফ নিয়ে প্রবেশ করতে হবে না, বসে বা দাড়িয়ে মসজিদের দেয়ালে কোরআন শরীফ পড়া যাবে। আর মসজিদের প্রধান দরজা বানানো হবে ৫০ মন পিতল,  প্রধান দরজায় লেখা থাকবে মহান আল্লাহর পবিত্র ৯৯ টি নাম ।
আজান প্রচারের জন্য মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে উচুঁ মিনার। উচ্চতার হিসেবে মিনারটি হবে প্রায় ৫৭ তলার সমপরিমাণ অর্থাৎ ৪৫১ ফুট।

মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হবে আলাদা ভবন। ওই ভবনে থাকবে, দুঃস্থ মহিলাদের জন্য বিনামূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা।মসজিদের কাছেই নির্মাণ করা হবে দূর দূরান্ত থেকে আগত মুসুল্লিদের থাকার জন্য ডাক বাংলো ও বিনামুল্যে খাবার বিতরণের ব্যবস্থা!  মসজিদটির নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
নির্মাতাদের প্রত্যাশা, শৈল্পিক স্থাপনা হিসেবে এ মসজিদটি অনন্য বৈশিষ্ট্যের এক প্রতীক হয়ে দাঁড়াবে । ইতোমধ্যেই (নির্মাণাধীন অবস্থায়) মসজিদটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক নির্মাণ কাজ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে। এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মা রিজিয়া খাতুন।
আশা করা হচ্ছে, ২০১৭ সালের প্রথম দিকে পবিত্র কাবা শরিফের ইমামের উপস্থিতি ও ইমামতির মাধ্যমে মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
মুসুল্লিদের নিরাপদ যাতায়াতের আকাশ পথের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে হেলিপ্যাড, এছাড়া আছে সড়কপথ , নৌপথ এবং রেলপথে যাতায়াত করার সুব্যবস্থা ।
মসজিদের আইটি বিভাগে দায়িত্বরত রুবেল আহমেদ বলেনঃ দেশ বিদেশের সকল মুসুল্লি যেন সার্বক্ষণিক আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে ও আমাদের তথ্য পেতে পারে এজন্য একটি অফিসিয়াল www.201gombujmasjid.org ওয়েবসাইট , ফেইসবুক পেইজ,ফেইসবুক  গ্রুপ,  ভেরিফাইড গুগল প্লাস পেইজ, ইউটিউব চ্যানেল এবং টুইটার পেইজ খোলা হয়েছে । যার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা যাবে মসজিদ কমিটির সাথে ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বলেনঃ
আমি ধন্যবাদ জানাই জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের নিবন্ধন দেবার জন্য । আমার মৃত্যুর পর আমার কোন সম্পত্তি দুনিয়াতে রেখে যেতে চাইনা, তাই আমার সকল সম্পত্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টে দান করে দিয়ে মসজিদের কাজ শুরু করেছিলাম,  আমি জনতা ব্যাংকের আট বারের সিবিএ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি , আমার পরিচিত কিছু ব্যবসায়ি বন্ধুর সহযোগিতায় এপর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি । মসজিদ আল্লাহ্‌র ঘর আল্লাহ্‌ নিজেই এর নির্মাণ শেষ করার তওফিক দিবেন, আরো কিছু বন্ধুকে আহবান করবো  ঐতিহাসিক ২০১ গম্বুজ জামে মসজিদ নির্মাণ কাজে শরিক হয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকতে। এজন্য রড, সিমেন্ট, ইট, বালু, পাথর, মার্বেল পাথর, পিতল ও অন্যন্য নির্মাণ উপকরণ সাদরে গ্রহন করা হবে । মসজিদের উদ্বোধনের বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ মিডিয়ার সকলকে আমন্ত্রণ করা হবে ইনশাল্লাহ ।

যে কেউ চাইলে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভের জন্য ঐতিহাসিক ২০১ গম্বুজ জামে মসজিদ নির্মাণ কাজে শরিক হয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকতে পারবেন । এজন্য রড, সিমেন্ট, ইট, বালু, পাথর, মার্বেল পাথর, পিতল ও অন্যন্য নির্মাণ উপকরণ সাদরে গ্রহন করা হবে ।
মসজিদ আল্লাহ্‌র ঘর তাই ইহা নিজের বেডরুমের চাইতে সুন্দর করা জরুরী, নির্মাণাধীন ঐতিহাসিক ২০১ গম্বুজ জামে মসজিদ নির্মাণ কাজে অংশ নিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকুন

অনুদান পাঠাতেঃ

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যাংক একাউন্ত নাম্বারঃ

Account Name: Bir Mukti Joddah Md. Rafiqul Islam Kallayan Trust

Account Number: 0100024858302

Branch Name: Janata Bhaban Corporate Branch

Swift Code: JANBBDDHJBC

Bank Name: Janata Bank Limited ,

অন্যকোন মাধ্যমে বা সরাসরি অনুদান প্রদান করতে আগ্রহী হলে এখনি ফোন করুন
+8801714635829
১৮ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে