নিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার এক বাজারে এক হিন্দু দর্জিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অাব্দুল জলিল ঘটনাস্থল থেকে টেলিফোনে জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তির নাম নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার।
৫৪ বছর বয়সী নিখিল চন্দ্রকে কয়েকজন লোক মোটরসাইকেলে এসে তার দোকানের সামনেই কুপিয়ে হত্যা করে বলে জানান তিনি।
নিহত নিখিল জোয়ারদারের স্ত্রী আরতি জোয়ারদার ছিলেন এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী।
তিনি জানান, ঘটনার মাত্র পাঁচ মিনিট আগেই তিনি তার স্বামীকে পানি দিয়ে এসেছিলেন।
একটু পরে গিয়েই দেখেন, দুজন লোক তার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার পর চলে যাচ্ছে। তাদের গায়ের কাপড়ে লেগে ছিল রক্তের দাগ।
আরতি জোয়ারদার জানান, হত্যাকারীরা এসেছিল মোটরসাইকেলে। নিহত নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার যে টেইলরিং শপটা চালাতেন সেটা তাদের বাড়ির কাছেই।
পুলিশ বলছে, নিহত নিখিল চন্দ্র জোয়ারদারকে ২০১২ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ধর্মবিরোধী কথা বলার অভিযোগ ছিল।
তবে এ অভিযোগে ঠিক কি ছিল, তার বিস্তারিত পুলিশ জানাতে পারেনি।
পুলিশ কর্মকর্তা আসলাম খান জানিয়েছেন, যারা নিখিল চন্দ্র জোয়ারদারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করে, তারা নিজেরাই পরে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেয়।
কিন্তু সেই অভিযোগের বিস্তারিত পুলিশ জানাতে পারেনি।
তবে নিখিল চন্দ্র জোয়ারদারের কন্য লিপি চন্দ্র বন্যা বলেছেন, তার বাবা কখনোই ধর্মবিরোধী কথা বলেন নি। স্থানীয় এক চা দোকানে কথাবার্তার একপর্যায়ে তিনি 'হুজুরেরও দাড়ি আছে, ছাগলেরও দাড়ি আছে' বলে মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু এরকম কথা তিনি কখনোই বলেননি।
লিপি চন্দ্র বন্যা আরো জানান, তার বাবাকে মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ২৪ দিন পর তিনি ছাড়া পান। -বিবিসি
৩০ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম