শনিবার, ০৭ মে, ২০১৬, ০১:৪২:১৭

ব্যতিক্রম দৃশ্য, এবার ভোট দিয়ে প্রার্থী বাছাই করলেন গ্রামবাসী

ব্যতিক্রম দৃশ্য, এবার ভোট দিয়ে প্রার্থী বাছাই করলেন গ্রামবাসী

টাঙ্গাইল: ভোট দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মেম্বার নয়, বরং আগে মেম্বার প্রার্থী ঠিক করলেন গ্রামবাসী। উদ্দেশ্য একক প্রার্থী দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনা।

শুক্রবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন কহেলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রামবাসী জানান, ওই ইউনিয়নের নুতন কহেলা, নবগ্রাম ও নাগরপাড়া গ্রাম নিয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। এবার ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচনে অংশ নিতে প্রতিটি গ্রামেরই দুজন করে প্রার্থী হয়েছে। নতুন কহেলা গ্রামের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আলী আজম খান খোকা ও মো. মাসুদুল হক খান বাবর গত বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিলে দুজনেরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করে নির্বাচন অফিস।

দুজন প্রার্থী থাকায় ২৫ বছর ধরে ওই গ্রাম থেকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হননি। এ কারণে এবারে নির্বাচনে একক প্রার্থী ঠিক করতে গ্রামবাসী শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের ব্যতিক্রম এ উদ্যোগ নেন। এ ভোটগ্রহণে গ্রামের সেবামূলক সংগঠন নতুন কহেলা সবুজ সংঘের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

নতুন কহেলা সবুজ সংঘের কার্যালয়ে অবস্থিত ভোটকেন্দ্রে গ্রামের ভোটারদের সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিতে দেখা যায়। কেন্দ্রের ভেতর স্থাপন করা হয়েছে পৃথক দুটি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স। দুই প্রার্থীর ছবি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ব্যালট পেপার।

দায়িত্বরত প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারা ভোট প্রদানের জন্য ভোটার তালিকা দেখে ভোটারদের আঙুলে অমোচনীয় কালি দিয়ে দিচ্ছেন। গাজীপুরের চান্দরা থেকে আসা ইউসুফ আলী খান বলেন, গ্রামের একজন প্রার্থী ঠিক করতে তিনি ভোট দিতে এসেছেন।

ঢাকার নবাবপুর থেকে আসা ব্যবসায়ী আবদুর রউফ খান বলেন, 'সঠিক প্রার্থী বেছে নিয়ে একটি সফল নির্বাচন করতে আমাদের এই উৎসবের আয়োজন।' ভোট চলাকালীন প্রার্থী মো. মাসুদুল হক খান জানান, হারজিত বড় কথা নয়। বিজয়ী না হলেও গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তকেই তিনি মেনে নেবেন।

অপর প্রার্থী আলী আজম খান বলেন, 'গ্রামের সম্পর্কে আমরা দুজন চাচা-ভাতিজা। গ্রামের আত্মীয়-স্বজনের সিদ্ধান্তে নির্বাচন অইত্যাছে। ভাইস্তা জয়ী অইলে আমি তার নির্বাচন করুম।' নির্বাচনে ৩২৮ জন ভোটারের মধ্যে ২৯১ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এতে আজম খান ১৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। বেলা পৌনে ১টায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মো. মাসুদুল হক খান বলেন, তিনি ফলাফল মেনে নিয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন।-যুগান্তর

উল্লেখ, পঞ্চম ধাপে আগামী ২৮ মে মির্জাপুর উপজেলার আট ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

৭ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে