টাঙ্গাইল : জেলার দেলদুয়ারে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে অনৈতিককাজের ঘটনায় মামলার পরিবর্তে গ্রাম্য সালিশে যান নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান। সালিশে ওই ঘটনা মীমাংসা করায় চেয়ারম্যানকেই পুলিশ আটক করে জেলে পাঠালো।
শুক্রবার রাতে পুলিশ উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ইলিয়াছ আলীকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার সকালে কারাগারে পাঠানো হয়।
একই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ডুবাইল ইউনিয়নের নাটিয়াপাড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সোহান (১৮) ও কোপাখী গ্রাম থেকে রফিকুল ইসলামের ছেলে শাকিলকে (১৯) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৯ মে রাতে কোপাখী গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে হাত-মুখ বেঁধে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অনৈতিককাজ করে একই গ্রামের বখাটে সোহান, শাকিল ও শাহিন।
এরপর এ ঘটনায় ৩১ মে রাতে এলাকার মাতবরদের উদ্যোগে কোপাখী গ্রামের সাবেক মেম্বার মতিয়ারের বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে বখাটেদের তিন লাখ টাকা জরিমানা করে মীমাংসা করা হয়।
পুলিশ বিষয়টি জানার পর গ্রাম্য সালিশে শিশুর ওই ঘটনায় মীমাংসা করার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইলিয়াছ আলীকে আটক করে।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর ঘটনায় গ্রাম্য সালিশে মীমাংসা করা হয়। পরে ওই ছাত্রীর অভিযোগের প্রক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াছ আলীকে ওই ঘটনায় সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়।
৪ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম