টাঙ্গাইল: রাজধানীর কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গি আবু হাকিম নাইমের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামে।
চার বছর বয়সে তার বাবা নুরুল ইসলাম মারা যান। এরপর তার মা তাকে নিয়ে জামালপুরের ঘোড়াধাপ গ্রামে নানা আবুল হোসেন মুন্সির বাড়িতে চলে যান। সেখানেই মাদরাসায় লেখাপড়া শুরু করে তিনি।
পরে ২০০৫ সালে মধুপুর উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের চাপাইত গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে মোসা. সখিনা খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি।
এরপর ২০০৭ সালে পাড়ি জমান লিবিয়ায়। সেখান থেকে ২০১২ সালে দেশে ফিরে আসেন তিনি। পরে জন্মস্থান গোপালপুরে প্রতিবেশী মকবুল চকদারের কাছ থেকে কিছু জমি নিয়ে সেখানে আরবি শিক্ষার মক্তব তৈরি করে তিনি।
সেখানে আরবি শিক্ষা না দিয়ে তিনি এলাকার ছেলেদের জিহাদি কার্যক্রম চালাতে ভিড়ানোর চেষ্টা করেন।
বিষয়টি এলাকাবাসী টের পেয়ে ২০১৩ সালে নাইমসহ তার পরিবারকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। তবে এলাকাবাসী তাকে নাইম বলে নয় হাকিম বলেই চিনতো। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মেলেনি বলে জানান এলাকাবাসী।
নাইমের রাজিয়া (১০), তাসলিয়া (৮) নামের দুই মেয়ে ও সাইফুল্লাহ (৫) নামের এক ছেলে রয়েছে। নাইমের সম্পর্কে আরো তথ্য সংগ্রহের জন্য তার চাচা সুরুজ্জামানকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গোপালপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে নাইমের গ্রাম গোলাবাড়ি। সেখানের লোকজন নাইমকে চেনেন না বলে জানান। তবে জঙ্গি নাইমের কথা বলা হলে তারা জানান, তার নাম নাইম নয় আসল নাম আব্দুল হাকিম।
এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, আমরা নাইমের থাকার ঘরের একটি ট্রাং থেকে একটি পুরাতন অ্যালবাম উদ্ধার করেছি। সেখানে নাইম ও তার স্ত্রী সখিনা খাতুনের একটি ছবি ও ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, আমরা নাইমের শ্বশুরবাড়িতে খোঁজ-খবর নিয়েছে, কিন্তু সেখানে কেউ নেই। তবে তার স্ত্রীকে খুুঁজে পেলে হয়তো আরো কিছু জানা যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাইমের চাচা সুরুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে।
২৯ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম