আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্কুল শিক্ষকের এমন অদ্ভুত শাস্তির কথায় চাঞ্চল্য ছড়াল বেহালায়। জড়িয়ে গেল শাসক দলের নামও।
বেহালার সরশুনার বাসুদেবপুর হাইস্কুলের এক পার্শ্ব শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনল পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী।
ছাত্রীর অভিযোগ, ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক অতনু দাশগুপ্ত ক্লাসে পড়ুয়াদের পড়া জিজ্ঞাসা করেন। সঙ্গে জানিয়ে দেন, পড়া না পারলে হয় কান ধরে উঠবোস করতে হবে, নয়ত তাঁর গালে ‘হামি’ খেতে হবে।
কয়েকজন ছাত্রী শিক্ষকের গালে চুমু খেলেও, এই ছাত্রী তা করতে অস্বীকার করে। তখন ছাত্রীটিকে ৪০ বার উঠবোস করানো হয় বলে অভিযোগ।
বাড়িতে ফিরে ছাত্রী এই ঘটনার কথা জানানোর পরে পরিবারের লোকজন স্কুলে যান। সেখানে কর্তৃপক্ষকে বলার পর অভিযোগ স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত শিক্ষক। স্থানীয় কাউন্সিলর শিপ্রা ঘটকের উপস্থিতিতে মুচলেকা লিখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় কাউন্সিলর সালিশি সভা বসিয়ে ব্যাপারটি মিটমাট করে। ছাত্রীর পরিবারকে হুমকিও দেওয়া হয়। স্কুলে পুলিশ এলেও, পরিবার থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি।
কাউন্সিলর শিপ্রা ঘটক জানিয়েছেন, ‘‘অভিভাবকরা আমার কাছে এসেছিলেন। ওই শিক্ষক ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। আমি বিষয়টি মিটিয়ে দিয়েছি।’’
কী বলছেন স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্য সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়? ওই ছাত্রীর প্রতিবেশীরা দাবি করেছেন, মেয়েটিকে স্কুল থেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দিয়ে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েই ব্যাপারটি মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে যুক্ত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর।
স্কুলের পরিচালন কমিটির পক্ষে সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ে অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘স্কুলের যাতে বদনাম না হয়, তাই আমরা দেখতে চেয়েছি।’’-এবেলা
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস