শনিবার, ১১ মার্চ, ২০১৭, ০৪:০৩:২২

‌‌‌'এত যদি ভয় থাকে তাহলে রাজনীতি কেন?’

‌‌‌'এত যদি ভয় থাকে তাহলে রাজনীতি কেন?’

নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি সম্পর্কে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘যারা ভারতের কাছ থেকে কিছুই আদায় করতে পারেনি, তারা এখন ভারত বিরোধী কথা বলছে। এসব খেলা বহু খেলেছে তারা।’

শনিবার রাজধানীর ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে যুব মহিলা লীগের দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) কোনও দেশপ্রেম নেই। ক্ষমতাটা তাদের কাছে বড় বিষয়। যে যখনই ক্ষমতায় এসেছে অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে। নিজেরাও অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে মুষ্টিমেয় লোকজনকে অর্থ সম্পদের মালিক করেছে। তাদের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে খুব ভারত বিরোধী কথা শুনি। আমার প্রশ্ন, ২০০১ সালের নির্বাচনে আগে যখন মার্কিন কোম্পানি আমাদের গ্যাস বিক্রি করতে চাইলো ভারতের কাছে তখন গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েছিল কে? খালেদা জিয়া। মুচলেকা দিয়েই তো ক্ষমতায় এসেছিল। আমি তো চেয়েছিলাম আমার দেশের সম্পদ আগে দেশের মানুষের কাজে লাগবে, ৫০ বছরের রিজার্ভ থাকবে তারপর আমরা ভেবে দেখবো আমরা বিক্রি করবো কিনা। এত কথা বলে এখানে র-এর যে প্রতিনিধি সে তো হাওয়া ভবনে বসে থাকতো। আমেরিকান অ্যাম্বাসির লোক হাওয়া ভবনে বসেই থাকতো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরই খালেদা জিয়া ভারত ঘুরে আসলেন। সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞেস করলেন, গঙ্গার পানির কি করলেন? উনি বললেন, গঙ্গার পানির কথা? ওহ হো ‍ওটা বলতে তো আমি ভুলেই গিয়েছি। উনি গঙ্গার পানির আদায় করতে ফারাক্কা পযন্ত লংমার্চ করেছিলেন। আন্দোলন করে ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলেই গেলেন। দালালিটা করে কে?’

নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আজকে তারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলে। জিয়াউর রহমান তো অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সংবিধান লঙঘন করেছিলেন। এ দেশে কবে কখন নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন তারা করছে বা করতে পেরেছে? তাদের ইতিহাসে তা নাই। তাদের ইতিহাসে আছে ভোট কারচুপি, অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো অথবা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে ভোটের রেজাল্ট ছিনিয়ে নেওয়া।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাঝে মাঝে বিএনপি নেতারা খুব অভিযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ইত্যাদি। আমি তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, ২০০১ সালে বিএনপির গুন্ডা বাহিনী তখন কি অত্যাচার করেছিল। এক-এগারোর পর আমি তো বিরোধী দলে ছিলাম। আমাকে তো গ্রেফতার করার কথা না। কিন্তু আমাকে প্রথমে দেশে আসতে দিলো না। পরে গ্রেফতার করা হলো। আজকে আমরা ক্ষমতায় আছি, কই বিএনপির নেতাদের উপর এত অত্যাচার করি না। করলে তো আমরা করতে পারি। তারা নাকি ভয়ে রাস্তায় নামতে পারে না। এত যদি ভয় থাকে তাহলে রাজনীতি কেন?’

যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল।
১১ মার্চ ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে