বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১৮, ০৫:২৪:০৯

‘আমি কি রিজভী নাকি?’

‘আমি কি রিজভী নাকি?’

নিউজ ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার মামলায় গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ এ পরোয়ানা জারি করেন। 

২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লাখ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’ ঐ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও কটূক্তি করেন। মামলার অপর আসামি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায়  মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটূক্তিই করেন এবং তাদের এ আত্মত্যাগ  নির্বোধের মতো বলে আখ্যাও দেন।

এর আগে খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন মামলার বাদী এ বি সিদ্দিকী। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকা নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন গয়েশ্বর। আজ সকালে জিয়া অরফানেজ মামলায় বেগম জিয়ার আপিলের শুনানি চলছিল। সেই বিষয়েও খোঁজ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা নিয়েও কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

জানা গেছে তিন সিটির একটি বরিশালে যাওয়ার কথা ছিল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের। সেখানে সংখ্যালঘু ভোটারদের আকৃষ্ট করাই ছিল তাঁর যাওয়ার উদ্দেশ্য। বিএনপির একজন নেতা গয়েশ্বরকে আজ প্রশ্ন করে বসেন, তিনি বরিশাল যাচ্ছেন কিনা? কারণ তাঁর বিরুদ্ধে তো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঝুলছে।

ওই প্রশ্নে অনেকটা ক্ষুব্ধ কণ্ঠেই গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, যাব না কেন? আমি কি রিজভী নাকি? মামলা হইল, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিল, আর আমি পার্টি অফিসে বসে রাজা-উজির মারবো।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছে, যখন খুশি গ্রেপ্তার করুক।  গ্রেপ্তার করলে শুধু আমার একটা আবেদন থাকবে, আমাকে যেন বেগম জিয়া কাছে রাখে।

এই ঘটনার পরই গয়েশ্বর চন্দ্র পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে যান। জানা গেছে, আগামী দু-একদিনের মধ্যে বরিশাল যাচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
সূত্র: বাংলা ইনসাইডার

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে