রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১১:৪০:১৬

ধারনাকে ভুল প্রমাণ করে কোচ হাথুরুসিংহেকে হাসির পাত্র বানিয়েছে টাইগারা!

ধারনাকে ভুল প্রমাণ করে কোচ হাথুরুসিংহেকে হাসির পাত্র বানিয়েছে টাইগারা!

স্পোর্টস ডেস্ক : দলের কোচ হাথুরুসিংহেকে হাসির পাত্র বানালো টাইগাররা। ডেভিড হুকস থেকে শুরু করে চান্দিকা হাতুরুসিংহে, বাংলাদেশের বোলারদের ২০ উইকেট নেওয়ার সক্ষমতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

মজার ব্যাপার হলো, এই ২০ উইকেট বিষয়ক কথা যখনই বাজারে এসেছে, বাংলাদেশ কিছু একটা চমকপ্রদ পারফরম্যান্স করেছে।

সে হিসেবে কেউ বলতে পারেন, কোচ হাতুরুসিংহে তার দলকে তাতিয়ে দেওয়ার জন্যই কথাটা বলেছিলেন। আমরাও আপাতত সেটাই সত্যি বলে ধরেই নেই। তাতে বিবাদ থাকে না। দলের এমন সুন্দর সময়ে বিবাদ, তর্ক করাটা মূর্খের কাজ। আমরা সে কাজ করবো না।

২৮৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে লাঞ্চ বিরতিতে যেতে পারলে অবশ্যই বলা যেতো, চট্টগ্রাম টেস্টে আমরা জয়ের পথেই আছি। তামিম আউট হয়ে যাওয়ায় পথে একটা ধাক্কা লেগেছে। তবে একেবারে পথ থেকে ছিটকে যায়নি দল।

এই যে বাংলাদেশ ১৫ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পথটা অন্তত দেখতে পাচ্ছে, এর আঠারো আনা কৃতিত্ব বোলারদের; স্পিনারদের। হ্যা, একটা রান আউট হয়েছে বটে। তারপরও ২০ উইকেট নিতে পেরেছেন বাংলাদেশীরা। ইংল্যান্ডকে দু বার অলআউট করেছেন সাকিব-মিরাজরা।

তাও আবার কেঁদে কেটে অলআউট নয়। একবার ২৯৩ রানে একবার ২৪০ রানে অলআউট হয়েছে এখন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপের দলটি। এই দলের ১১ জন ব্যাটসম্যানের সবারই কমপক্ষে একটি প্রথম শ্রেনীর সেঞ্চুরি আছে। সেই দলকে দু বার অলআউট করা, সেটা ফিরোজ শাহ কোটলায় হোক বা ওয়াকায় হোক, নিঃসন্দেহে অনেক বড় কীর্তি।

সেই কীর্তিতে খোদ কোচ মুগ্ধ হয়েছেন। আজ সকালে খেলা শুরুর আগে নিজের কথা একটু হলেও হজম করে নিয়ে বলেছেন, ‘ম্যাচের যে অবস্থা তাতে আমি সন্তুষ্ট। দেখে ভাল লাগছে যে ছেলেরা ২০ উইকেট নিতে পারে। ব্যাপারটা খুবই ইতিবাচক।’

হ্য, এই ইতিবাচকতা নিয়েই টেস্টের বাকী পথ এগোতে চাই আমরা। কোচকে আমরা ধন্যবাদ দিতে চাই। তিনি যে ভাবেই কথাটা বলুন না কেনো, তার দল সেটাকে নিয়েছে; কথাটা মিথ্যে প্রমাণ করে ছেড়েছে। ফলে তাতিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য হলে তিনি শতভাগ সফল।

এমনকি এখান থেকে যদি বাংলাদেশ পথ হারিয়ে ফেলে, তাও এই অর্জন মিথ্যে হয়ে যাবে না। আবারও বলি, দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে নেমে ছেলেরা এই যে কীর্তি টেস্টের প্রথম তিন দিন ধরে, চতুর্থ দিন অবদি দেখালো, এ মিথ্যে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এই টেস্ট আমরা না জিতলেও কিছু যায় আসে না। আমাদের দল প্রমাণ করেছে, তারা এখন সর্বোচ্চ মানের দলগুলোকে টেস্টেও হারানোর যোগ্যতা রাখে। যোগ্যতা, সামর্থ; এসবে আর প্রভেদ নেই। প্রভেদ যেটুকু আছে, খেলার সুযোগে। এই পারফরম্যান্স দেখে আমাদের বোর্ড অন্তত নিশ্চয়ই রাজী হবেন যে, এদের আরেকটু বেশী টেস্ট খেলার সুযোগ করে দেওয়া দরকার।

আর সেটাই হলো, চট্টগ্রাম টেস্টের সবচেয়ে বড় সাফল্য; ২০ উইকেট পতনের সেরা অর্জন। হাথুরু এর আগে বলেছিলেন ২০ উইকেট নেয়ার যোগ্যতা বাংলাদেশের নেই। কোচের ধারনাকে ভুল প্রমাণ করলো টাইগাররা।
২৩ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে