স্পোর্টস ডেস্ক: ঘটেনি বড় কোনো অঘটন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দিনটা ছিলো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদেরই। বাকিটা ছিলো বৃষ্টির দখলে। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ।
এই মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচে এক দিনে ১৩টি উইকেট পড়ে। সেই টেস্টের প্রথম দিনে ১৩ উইকেট পড়লেও আজ বাংলাদেশ সেই রেকর্ড ভাঙল। এতে অবশ্য বৃষ্টিরও অবদান আছে। দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ১৫৪ রান।
বোলারদের স্বর্গে এই ব্যাটিংয়ের প্রশংসা না করে তো উপায় নেই। তবে শুরুটা এতটা ভালো ছিল না। দলীয় ১৬ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরেন ইমরুল কায়েস। ব্যক্তিগত ১ রানে তিনি টিম সাউদির বলে ট্রেন্ট বোল্টের শিকারে পরিণত হন।
এরপর ট্রেন্ট বোল্টকে বেশ ভুগিয়েছেন তামিম ইকবাল। তামিমের ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিং যথেষ্ট বিনোদন দিচ্ছিল প্রথম দিনে। ক্যারিয়ারের ২০ তম হাফ সেঞ্চুরি তুলতে সময় নেন মাত্র ৪৮ বল।
তার ৫০ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে ১১টি চারের ৬টি মেরেছেন বোল্টের বলে। এই ঝড় সামলে অবশ্য তামিম ইকবালকে রিভিউয়ের সুযোগ নিয়ে প্যাভিলিয়নে পাঠান বোল্ট। তখন বাংলাদেশের রান ৬০। মমিনুলের সাথে তার জুটি ছিল ৪৪ রানের।
অপর প্রান্তে অবিচল 'টেস্ট হিরো' মমিনুল হকের সাথে জুটি বাঁধেন নির্ভরতার প্রতীক মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। দুজনে মিলে ৮৫ রানের দারুণ কার্যকরী এক জুটি গড়েন। অসাধারণ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন রিয়াদ।
কিন্তু হঠাৎ কী যে হলো তার; ওয়াগনারের বলে সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় একটা খোঁচা মেরে উইকেটকিপারের গ্লাভসবন্দী হলেন। ৬৪ বলে তার সংগ্রহ ২৬ রান। চারের মার রয়েছে ৪টি।
এর আগেই অবশ্য নিজের ক্যারিয়ারের ১১তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মমিনুল। যার টেস্ট ব্যাটিং গড় ৫১.৬৬ এবং স্ট্রাইক রেট ৫৫। রিয়াদের বিদায়ের পর তার সঙ্গী হন সাকিব আল হাসান। ওয়াগনারকে ব্যাকওয়া্র্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে দারুণ এক চার হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
দিনশেষে মমিনুল ৬৪ এবং সাকিব ৫ রানে অপরাজিত আছেন। হিসাব মতে, দ্বিতীয় দিন থেকেই উইকেট ব্যাটসম্যানদের অনুকূলে আসার কথা। তাই ব্যাটিং পরীক্ষার প্রথম চ্যালেঞ্জে টাইগাররা মোটামুটি ভালোভাবেই উত্তীর্ণ হলো।
১২ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর