স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেট মাঠের মতো প্রেমের মাঠেও সেরা ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রথম প্রেমের করুণ পরিণতি হয়েছিল। তারপর জীবনে এলেন সাক্ষী সিং রাওয়াত। বায়োপিকের সৌজন্যে দুজনের প্রেমকাহিনি এখন প্রায় সকলেই জানেন। কীভাবে একে অন্যের কাছাকাছি এলেন সে খবরও পুরনো। তবে যা অনেকেই জানে না তা হলো, ধোনি-সাক্ষীর প্রেমকাহিনি গড়ে ওঠার পেছনের কারণগুলো।
ধোনি-সাক্ষীর সম্পর্ক গড়ে ওঠার অনেক আগে থেকেই কর্মসূত্রে দুজনের বাবা একে অন্যকে চিনতেন। দুজনের বাবাই থাকতেন রাঁচিতে। এ ছাড়াও দুজনই একই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। একে অন্যের মানসিকতা বুঝতে বিশেষ সমস্যা হয়নি।
ধোনি-সাক্ষীর রি-ইউনিয়ন ঘটে কলকাতার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। ওই হোটেলে সাক্ষী কাজ করতেন। আর ধোনি ভারতের হয়ে খেলতে এসেছিলেন কলকাতায়। ওই পাঁচ তারা হোটেলেই উঠেছিলেন ধোনি। দুজনের নতুন করে দেখা হওয়ার আগে সাক্ষীকে একটি প্রেমের বার্তা পাঠিয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু সাক্ষী সেটাকে বন্ধুর মজা ভেবে বিশেষ গুরুত্ব দেননি।
ক্রিকেট নিয়ে সাক্ষীর তেমন কোনো আগ্রহও ছিল না। পরে সাক্ষীর পূর্বপরিচিত ধোনির বন্ধু যুধাজিৎ দত্ত তাকে বলেন, ওই প্রেমের মেসেজটা ধোনিই পাঠিয়েছেন। দুজনের কাছে আসার পিছনে কিন্তু যুধাজিতের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। সেই পাঁচ তারা হোটেলে একে অন্যের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারেন, তারা নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে যথেষ্ট সচেতন ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মানসিকতা মিলে যাওয়ায় আরো কাছাকাছি এসেছিলেন ধোনি-সাক্ষী।
ধোনির সাবেক প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা ঝাঁ এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন। ধোনি তখন প্রচণ্ড শকড হয়ে গিয়েছিলেন। ভারতের জাতীয় দলের সুপারস্টার তিনি। কিন্তু কেউ জানতই না যে ধোনির জীবনে কী ভয়ানক ঘটনা ঘটে গেছে! একটা সময় ধোনি নিজেকে সামলে নেন। জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে যান সাক্ষীর মত একজন; যিনি সংসারের পাশাপাশি সামলে রাখেন ধোনিকেও। ধোনি-সাক্ষীর এ প্রেমকাহিনি অনেকের কাছেই অজানা।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে