স্পোর্টস ডেস্ক: টানা চতুর্থবারের মতো এশিয়া কাপের আয়োজক হতে পারে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের পর ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে এশিয়া কাপের আসর বসেছিল বাংলাদেশে।
শেষবার এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, যেখানে বাংলাদেশ খেলেছিল ফাইনাল। এর আগে দুবার ওয়ানডে ফরম্যাটে এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালেও বাংলাদেশ ফাইনাল খেলেছিল। আগামী বছরের আগস্টে এশিয়ার মহাযজ্ঞ বসবে। ভারত এরই মধ্যে টুর্নামেন্টের আয়োজক থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নিয়েছে।
সোমবার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভা দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই নিশ্চিত হতে পারে এশিয়া কাপের পরবর্তী আয়োজক। ভারত অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু সরকারের থেকে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় পরবর্তীতে ভারত থেকে মালয়েশিয়ায় টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেয় এসিসি।
বাংলাদেশের সঙ্গে এশিয়া কাপের আয়োজনের লড়াইয়ে আছে শ্রীলঙ্কা। তবে শেষ তিন আসরে এসিসির কোষাগারে বিশাল লাভ জমা হওয়ায় এসিসির অনেক কর্মকর্তারও ইচ্ছে বাংলাদেশে এশিয়া কাপের আয়োজন করতে।
আগামী বছরের এশিয়া কাপ হতে পারে ছয় দলের। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সঙ্গে আসবে সহযোগী দলগুলোর থেকে শীর্ষে থাকা দল।
বিসিবির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস আজ এক অনুষ্ঠানে বলেছেন,‘২০১৮ সালে এশিয়া কাপের আয়োজক হিসেবে আমাদের আলোচনা এখনো অনানুষ্ঠানিক। এ বিষয়ে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রস্তাব দেইনি। এটা একেবারে প্রাথমিকভাবে আলোচনা।’
আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব না দিলেও এসিসির ইচ্ছায় এশিয়া কাপ আয়োজনে কোনো আপত্তি দেখাবে না বিসিবি।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি