রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৮, ০৫:২১:৩২

মাঠে যদি আম্পায়ারদের বিপক্ষেও খেলতে হয়...

মাঠে যদি আম্পায়ারদের বিপক্ষেও খেলতে হয়...

স্পোর্টস ডেস্ক: তখনও ক্রিকেটে রিভিউ পদ্ধতি চালু হয়নি। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউ অথবা ক্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ফিরে আসার ঘটনা ছিল একেবারেই স্বাভাবিক! এ নিয়ে বাংলাদেশ দল কিছু না বললেও সমর্থকদের ক্ষোভ কম ছিল না। রিভিউ পদ্ধতি চালু হওয়ায় সেই পরিস্থিতি আর নেই। কিন্তু আম্পায়ারিং কী বদলেছে?  

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষের  ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে এখনও ক্ষোভ আছে বাংলাদেশের সমর্থকদের মধ্যে। মাশরাফির বলে রিভিউ নিয়েও সুরেশ রায়নার আউট পাওয়া যায়নি! আবার রোহিত শর্মাকে আউট করলে নো বল ডাকেন মাঠের আম্পায়ার! ক্রিকেটভক্তরা সেই ম্যাচেও মাঠ আম্পায়ারদের দল প্রীতির অভিযোগ করেন।  

মাঠ আম্পায়দের দল প্রীতির আরেক উদাহরণ হয়তো শুক্রবার কলম্বোয় বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ। এদিন শ্রীলংকার বিপক্ষে ৮৩ রানে জীবন মেন্ডিসের বলে বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবালের আউটের সম্ভাবনা তৈরি হয়। উইকেট রক্ষকের গ্লাভস কেটে বল চলে যাওয়া দেখে মূল আম্পায়ার এক হাতের সঙ্গে আরেক হাতে চাপল মারেন, প্রকাশ করেন আফসোস! তার ওই আফসোস ধরা পড়ে টিভি ক্যামেরায়। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, ম্যাচের শেষ ওভারে দুই আম্পায়ার রাভেন্দ্র উইমালাশ্রী এবং রুচিরা পালিয়াগুরুরে যা করেন তাতে রীতিমত বিস্মিত ক্রিকেট বোদ্ধারা।

শেষ ওভারে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে লঙ্কান বোলার ইসুরু উদানা পর পর দুটো বাউন্স দেন। কিন্তু একটিতেও 'নো' বল ডাকা হয়নি! লেগ আম্পায়ার 'নো' দিলেও তা নাকচ করে দেন মূল আম্পায়ার!

নিদাহাস ট্রাফির শুক্রবারের ম্যাচে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচে আম্পায়ারদের এই আচরণের সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শুধু বাংলাদেশের নয়; দেশের বাইরে থেকেও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন আম্পায়ারদের ভূমিকা নিয়ে।

সোহেল পাটোয়ারি নামে একজন ফেসবুকে আম্পায়ারের সেই আফসোস প্রকাশের ভিডিও দিয়ে লিখেছেন, 'চলুন দেখে নেই বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচে আম্পায়ারের প্রতিক্রিয়া কী ছিল।' সাইফুল সাইফ নামের আরেকজন লিখেছেন, 'আম্পায়ারের প্রতিক্রিয়া, ইশ একটুর জন্য তামিমের আউটটা হলো না।' আবার অনেকে মন্তব্য করেছেন, শ্রীলংকার ১৩ জন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে খেলে জিতেছে বাংলাদেশ। তাদের মতে, শ্রীলংকা দলে ১১ জন ক্রিকেটার আর ২ জন আম্পায়ারসহ মোট খেলোয়াড় ছিল ১৩ জন।

এদিকে ভারতের ক্রিকেটভক্ত রিতেশ চোপড়া টু্ইটে লিখেছেন, 'আশা করছি আইসিসি আমার টুইটটির মূল্যায়ন করবে। বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচে আম্পায়ারের মান কতটা নিচে তা আবার সবাই দেখলো।'

অনিল নামের একজন টুইটে লিখেছেন, 'মাঠে যদি আম্পায়ারদের বিপক্ষেও খেলতে হয়, তবে জেতা কঠিন। তবে টাইগাররা সেটা করে দেখিয়েছে।' মোহনের টুইট হলো, 'মাঠে অনেক কিছু দেখা গেলো, উত্তেজনার সঙ্গে আম্পায়ারিংটাও চোখে লেগে থাকবে।'       
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে