মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮, ০৬:৫৯:১৮

পেট খারাপ নিয়েই ফাইনাল খেলছেন কন্তে!

পেট খারাপ নিয়েই ফাইনাল খেলছেন কন্তে!

স্পোর্টস ডেস্কঃ পেট খারাপ নিয়ে এতটাই লজ্জিত ছিলেন যে, সতীর্থদের কাছে ট্রফিটাই ভাল ভাবে চাইতে পারছিলেন না তিনি। পেট খারাপ নিয়েই ফাইনাল খেললেন। তবে বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারলেন না। তুলে নিতে হল কোচকে। এমনই অদ্ভূত কান্ড ঘটল এনগোলো কন্তের ক্ষেত্রে। ক্রোয়েশিয়া বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে প্রথম থেকেই ছন্দে ছিলেন না তিনি। তাঁর ভুলে গোলও হজম করতে হয়েছে। ৫৫ মিনিটে এনগোলো কন্তেকে তুলে নিচে বাধ্য হন কোচ। কিন্তু চেলসিতে খেলা তারকা মিডফিল্ডারের হলটা কী! ফ্রান্সের দুর্ধষ জয়ের প্রশ্নটা চাপা পড়েনি। শেষ পর্যন্ত জানা গেল আসল কারণ।

পেটে গোলযোগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই অচেনা কন্তেকে পাওয়া গিয়েছিল লুঝনিকির মাঠে। ফ্রান্সের নামি দৈনিক ‘ল্য ইক্যুয়েঁপ’-এর প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গিয়েছে।  লেস্টারের চমকপ্রদ ইপিএল জয়ের অন্যতম কুশীলব ছিলেন ফরাসি এই তারকা। তারপরে অবশ্য তিনি চেলসিতে চলে আসেন। জাতীয় দলের জার্সিতে দেশমও চোখ বুঝে ভরসা করেন কস্তেকে। বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই প্রথম একাদশে ছিলেন তিনি। কিন্তু ফাইনালে শুরু থেকেই নড়বড়ে লাগছিল তাঁকে। ক্রোয়েশিয়ার স্ট্রাইকার পেরিসিচকে প্রায় সামলাতেই পারছিলেন না তিনি।

একবার বিশ্রী ফাউল করে হলুদ কার্ডও দেখতে হয় কন্তেকে। বিরতির পরে আর দেরি করেননি ফরাসি কোচ। দ্বিতীয়ার্ধের দশ মিনিটের মাথাতেই স্টিভেন এন ঝনঝিকে নামিয়ে দেন কন্তের পরিবর্ত হিসেবে। এর পরে সমস্যা মিটিয়ে অবশ্য দলের জয়ের পরে তুমুল সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন তিনি। কিন্তু দেখা গিয়েছে, লাজুক কান্তে ট্রফিতে হাত দিতে পর্যন্ত লজ্জা পাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত এন ঝনঝি’ই কন্তে হাতে ট্রফি তুলে দেন।

সবমিলিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে কন্তের ‘কান্ড’ ফিরিয়ে আনছে শচিন রমেশ টেন্ডুলকারের স্মৃতি। ২০০৩ সালে পেট খারাপ নিয়ে খেলতে নেমেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জোহানেসবার্গে বিধ্বংসী ৯৭ রান করেছিলেন। তিনি পরে এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন, অন্তর্বাসের তলায় টিস্যু পেপার নিয়েই তিনি সেদিন মাঠে নেমেছিলেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে