স্পোর্টস ডেস্ক: অনেকে এখন বলেন পাকিস্তানের দল নির্বাচনে ইনজামাম উল হকের পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। তার আপন ভাতিজাকে জাতীয় দলে নেয়ায় এই সমালোচনা দেশি-বিদেশি সব মিডিয়ায়।
ইমাম দলে ডাক পেয়ে এই সমালোচনায় হতবাক না হয়ে পারেন নি। কেউ বাহবা দিলেও খোদ পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকে ভালো নজরে দেখেননি এটাকে। তবে জবাব দিতে মোটেই দেড়ি করেননি তিনি।
অভিষেকের প্রথম ম্যাচেই হাকান সেঞ্চুরি। এর পরেও যেন কেমন কেমন রব। এশিয়াকাপে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ২ রান করেন ইমাম। এর আগে হংকংয়ের বিপক্ষে তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের শঙ্কা নিয়েই মাঠে নামে পাকিস্তান। এখানে দলের জয়ের নায়ক ইমাম। ওপেনার ইমাম দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন।
ইমাম যদি আর কয়েকটি রান কমও করতেন তবেই হারের লজ্জা পেত পাকিস্তান। আফগানিস্তানের কাছে যদি এশিয়াকাপের মত আসরে পাকিস্তান হেরে যায় তবে সেটা যে কতটা বেমানান তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দলকে অনন্ত এই লজ্জায় পড়তে দেননি ইমাম। ইমামের সাথে এদিন শোয়েব মালিকের ৫১ রানের ইনিংস দারুণ কাজে দেয়। পরিসংখ্যানে গিয়ে দেখা যায় গত ৫টি ম্যাচের মধ্যে দুটি সেঞ্চুরি, দুটি হাফ সেঞ্চুরি ইনজামামের ভাতিজার।
তবে পাকিস্তান বলে কথা। ইনজামামের ভাতিজা বলে এখনো হয়তো প্রশংসা নাও পেতে পারেন তিনি। আর বিশ্ব মিডিয়ার বুঝতে বাকি নেই ইনজামাম, শচীনের মতই বিকশিত হতে যাচ্ছেন অনুর্ধ্ব-১৯ দল থেকে জাতীয় দলের ওপেনার হিসেবে ডাক পাওয়া এই যুবক।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর