স্পোর্টস ডেস্ক: শুরুর বিপর্যয়ের পর দারুণ সামাল দিয়েছিলেন লিটন কুমার দাশ ও মুশফিকুর রহিম। গড়েছিলেন ৬৫ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। কিন্তু ১৯তম ওভারে প্রথমবারের মত রশিদ খান আক্রমণে আসতেই আত্মহত্যার মিছিলে যোগ দেন লিটন, মুশফিক ও সাকিব। তিন ওভারের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন এই তিনজন।
১৮ ওভারে ২ উইকেটে ৭৬ রান থেকে ২১ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৭ রানের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে দলকে পথ দেখাচ্ছেন ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইমরুল কায়েস ও সবসময়ের 'বিপদের বন্ধু' খ্যাত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২৬ রান। মাহমুদউল্লাহ ২৩ ও ইমরুল খেলছেন ২০ রান নিয়ে। ইমরুলের ব্যাট থেকে এসেছে একটি বাউন্ডারি, মাহমুদউল্লাহ হাঁকিয়েছেন দুটি বাউন্ডারি। ইতোমধ্যে এ জুটি যোগ করেছে ৩৯ রান।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে আগের তিন ম্যাচের ব্যর্থতা মাথায় রেখে এ ম্যাচে ধীরে সুস্থে শুরু করেন লিটন ও শান্ত। কিন্তু বেশিক্ষণ ধৈর্য্য ধরতে রাখতে পারেননি শান্ত। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে আফতাব আলমের বোলিংয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন রহমত শাহ'র হাতে। ফেরেন ব্যক্তিগত ৬ রানে।
পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন প্রমোশন পেয়ে তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও। মুজিব উর রহমানের ভেতরে ঢোকা বলে বেশ দেরি করে খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন লেগ বিফোরের ফাঁদে। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র এক রান।
আগের তিন ম্যাচেই ব্যর্থতার বৃত্তে আবদ্ধ থাকা লিটন এ ম্যাচে শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত। উইকেটের চার পাশে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে মাত্র ৪২ বলে ৪১ রান করে ফেলেছিলেন লিটন। রশিদ খান প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসতেই ওভারের তৃতীয় বলে এক্সট্রা কভার দিয়ে দৃষ্টিনন্দন চার মারেন তিনি।
লোভ সামলাতে না পেরে পরের বলে খেলতে যান সুইপ শট। কিন্তু টপ এজ হয়ে ধরা পড়েন এহসানউল্লাহ জান্নাতের হাতে। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ৪১ রানের সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এক বল পড়েই মুশফিকের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয় সাকিবের। সরাসরি থ্রোতে তাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান সামিউল্লাহ শেনওয়ারি।
এক ওভার পরে আবার আক্রমণে আসেন রশিদ খান। এবার ভুল বোঝাবুঝির স্বীকার হন মুশফিকুর রহিম। ইমরুল কায়েসের ডাকে উইকেটের প্রায় মাঝপথে চলে যান মুশফিক। কিন্তু ইমরুল তাকে ফিরিয়ে দিলে আর ফিরতে পারেননি নিজের ক্রিজে। ফিরে যান ব্যক্তিগত ৩৩ রানের মাথায়।