স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুই দলের সর্বশেষ মুখোমুখি সাড়ে তিন বছর আগে। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা সেই সিরিজের নায়ক ছিলেন তামিম। টানা দুই সেঞ্চুরি ছাড়া আরও একটি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। কিন্তু এশিয়া কাপে তামিম নেই। হাতের কব্জি ইনজুরিতে এশিয়া কাপের মাঝপথ থেকে দেশে ফিরে আসেন তামিম। তার অভাব পূরণ করতেই অদ্ভুত খেয়ালে টিম সাজাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। দুই অফ ফর্মের ওপেনার নিয়ে খেলছে ম্যাচগুলো। ভুক্তভোগীও হচ্ছে।
সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন সময়ই সিদ্ধান্ত হয় দেশ থেকে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারকে উড়িয়ে নেওয়া হবে দুবাইতে। তখন অনেকেরই ধারনা ছিল, আফগানদের বিপক্ষে ওপেনিংয়েই আসবে পরিবর্তন। কিন্তু তা হয়নি। এশিয়া নিয়মিত ব্যর্থ দুই ওপেনারই শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামলেন। আবারও ব্যর্থ শান্ত। লিটন দেখেশুনে খেলে আবারও বাজে খেলে আউট হয়েছেন। আর মোসাদ্দেকের বদলে ইমরুল খেললেন ছয়ে। দলের প্রয়োজনে ছয়ে ব্যাট করেও দুর্দান্ত খেলেছেন ইমরুল। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষেও ইমরুল ওপেনিংয়ে খেলবেন নাকি ছয়ে তা নিয়ে ধোয়াশা থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে, পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই সিরিজে রান করেছিলেন মুশফিকও। সেঞ্চুরি করেছিলেন একটি এবং একটি হাফসেঞ্চুরি। সিরিজে তার রান ছিল ১০৬, ৬৫ ও ৪৯*। সেঞ্চুরি করেছিলেন সৌম্য সরকারও। ১২৭ রানের ইনিংটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্যতম সেরা। দুজনই এখন রয়েছেন দলের সঙ্গে।
তাই সব মিলিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে শান্ত বসছেন তা নিশ্চিতই বলা যায়। সেক্ষেত্রে সেই জায়গায় সৌম্যকে দেখা যেতে পারে। আর আফগানদের বিপক্ষে ভালো খেলায় লিটনকে আরেকটা সুযোগ দিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই আবারও ইমরুলকে মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাই ওপেনিংয়ে যে আবারও পরিবর্তন আসছে তা প্রায় নিশ্চিত।