মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:০২:১৪

রশিদকে সামলানোর রহস্য জানালেন ইমরুল

রশিদকে সামলানোর রহস্য জানালেন ইমরুল

স্পোর্টস ডেস্ক: খুলনা থেকে ঢাকা, ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে আবুধাবি; আবুধাবির মাঠে নেমে গুরুত্বপূর্ণ ৭২ রানের ইনিংস। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে জিরো থেকে হিরো বনে গেলেন ইমরুল কায়েস। শুক্রবার পর্যন্তও ছিলেন না এশিয়া কাপের আশেপাশেও, বিসিবির বিশেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চলে গিয়েছিলেন খুলনায়।

সেই তিনি হুট করে ডাক পেয়ে যান দুবাই থেকে, চলে আসেন ঢাকায়, শনিবার সন্ধ্যায় চেপে বসেন দুবাইয়ের বিমানে, রোববার বিকেলে সাবলীলভাবেই সামাল দেন আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ খান ও রহস্য স্পিনার মুজিব উর রহমানদের। খালি চোখে দেখতে যতোটা সহজ মনে হচ্ছে, কাজটা ঠিক ততোটাই কঠিন।

বিশেষ করে ভ্রমণক্লান্তি সাথে নিয়েই রশিদ খানকে যেভাবে সামলেছেন, তা বাড়িয়েছে তার ইনিংসের মাহাত্ন্য। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে রশিদ খানের ওভারে বাংলাদেশ দল নিতে পেরেছিল মাত্র ১৩ রান, খুঁইয়েছিল ৩টি উইকেট। সেই রশিদই সুপার ফোরের ম্যাচে নিতে পেরেছেন মাত্র ১টি উইকেট, খরচ করেছেন ৪৬ রান।

এর বড় কৃতিত্ব ইমরুলের। কারণ রশিদের স্পেলের ৬০ বলের মধ্যে ২৫টিই যে খেলেছেন তিনি, এই ২৫ বলে করেছেন ১৭ রান। একবারের জন্যও কোনো সুযোগ দেননি রশিদকে। তাও আবার নিজের চিরচেনা টপঅর্ডার বাদ দিয়ে ছয় নম্বরে নেমে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ইমরুল।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল হয়তো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের নেটে রশিদকে খেলায় সাবলীল থাকতে পেরেছেন তার বিপক্ষে। কিন্তু ইমরুল নিজে জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। বিপিএলে এক দলে খেললেও নেটে খুব বেশি পাননি রশিদকে। তবে রশিদের বোলিংয়ের ভিডিও দেখেই তাকে খেলার ধারণা নিয়েছেন ইমরুল।

সংবাদ মাধ্যমে নিজের ইনিংস সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে রশিদের বল নেটে খুব বেশি একটা পাইনি। কারণ আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ওরকম অনুশীলন হয় না। বড় বড় ক্রিকেটাররা অনেক সময় তেমনভাবে অনুশীলন করেও না। কিন্তু ওর বলের গ্রিপিংয়ের কিছু কৌশল ছিল, যেগুলো আমি অনুসরণ করেছিলাম। ভিডিও অ্যানালাইসিস দেখছিলাম। ওর বোলিংয়ের সময় আমি ওই জিনিসটা অনুসরণ করছিলাম। হয়তবা ওই কারণেই আগের থেকে আমি পড়তে পারছিলাম।’

মূলত ভিডিও অ্যানালাইসিসের কারণেই রশিদকে খেলা সহজ হয়েছিল বলে জানান ইমরুল, ‘আগের অনেক ভিডিও দেখেছি। সম্প্রতিও দেখছি। কোন গ্রিপে গুগলি করে, কোন গ্রিপে লেগ স্পিন করে, এসব অনুসরণ করেছি, যখন বল গ্রিপ করে। এটা আগে থেকে দেখলে, অনেক কিছু সহজ হয়ে যায়।’

ক্যারিয়ারের আগের ৭০ ইনিংসের মধ্যে ৬১ বার খেলেছিলেন ওপেনিংয়ে, ৯ বার নেমেছেন তিন নম্বরে। আফগানিস্তানের বিপক্ষেই প্রথমবারের মতো নামেন টপঅর্ডারের নিচে। নিজের এ পরিবর্তিত ব্যাটিং পজিশন নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭২ রানের ইনিংস খেলে দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা ইমরুল।

‘আমার মনে হয়, ওপেনিং ব্যাটসম্যানরা যখন বড় ইনিংস খেলতে থাকে, তখন তারা সব পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করার মতো উপযুক্ত হয়ে উঠে। কেননা লম্বা ইনিংসে খেলতে হলে ওপেনারদের শুরুতে, মাঝে এবং শেষের ওভারে খেলতে হয়। এ কারণে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় না ৬ কিংবা ৪ নম্বর নিয়ে কোনো সমস্যা আছে। আমি যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছিলাম, আমার কাছে মনে হয়েছে আমি বলের মেধা দেখে খেলব, পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলব। ওভাবেই আসলে চেষ্টা করেছি।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে