মঙ্গলবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৮, ০৭:৪৪:০৩

এবার তামিমের ভূমিকায় লিটন?

এবার তামিমের ভূমিকায় লিটন?

স্পোর্টস ডেস্ক: তামিম ইকবাল নেই জিম্বাবুয়ে সিরিজে। দলের অভিজ্ঞ ওপেনার হিসেবে তাঁকে এতদিন যে ভূমিকাটা পালন করতে হতো, এবার হয়তো সেটিই করতে হবে লিটন দাসকে। তরুণ এ ওপেনার পারবেন চ্যালেঞ্জটা উতরে যেতে?

দুর্গা পূজার সপ্তমী আজ। ধর্মীয় এই উৎসবের দিনে লিটন দাসের ভীষণ ব্যস্ততা ক্রিকেট নিয়ে। পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন সবাই নিশ্চয়ই উৎসবমুখর সময়টা ভীষণ উপভোগ করছে। লিটনকে তখন ভাবতে হচ্ছে জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়ে। উৎসবের ভাবনা বাদ দিয়ে ক্রিকেট নিয়ে পড়ে থাকতে কেমন লাগছে লিটনের? ‘এক্সিলেন্ট, খুব ভালো’—তরুণ ওপেনারের হাসিটা ছড়িয়ে পড়ে সবার মধ্যে।

পরক্ষণেই সিরিয়াস ভঙ্গিতে লিটন জানিয়ে দেন, পেশাদার ক্রিকেটারের কাছে ক্রিকেটটাই সবার আগে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক কিংবা উৎসবের চেয়ে তাঁকে দলের দলের প্রয়োজনটাই আগে দেখতে হয়। তবে একটা ইতিবাচক দিক হচ্ছে, তিনি দেশে আছেন। বাড়ি দিনাজপুরে হয়তো যাওয়া হবে না, তবে চাইলে ঢাকায় কোনো মন্দিরে ঢুঁ মারতে পারেন। পূজার ভাবনা ছাপিয়ে এখন লিটনের চিন্তায় জিম্বাবুয়ে সিরিজ। এশিয়া কাপে ভালো খেলেছেন। সেটির ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ তাঁর সামনে।

লিটনের চ্যালেঞ্জটা এবার আরও বড়, বড় একটা দায়িত্ব যে বর্তাবে তাঁর কাঁধে! এত দিন যে চ্যালেঞ্জটা নিতে হতো তামিম ইকবালকে। ওপেনিং জুটিতে সব সময়ই ‘সিনিয়র’র হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হয়েছে তামিমকে। অস্বস্তি বা স্নায়ুচাপে ভোগা কিংবা অনভিজ্ঞ অনুজ সতীর্থকে এগিয়ে নেওয়ার কাজটি তাঁকেই করতে হয়েছে। সেটি তিনি করেছেন কথা দিয়ে কিংবা দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। এবার তামিম নেই। এ কাজটি হয়তো লিটনকেই করতে হবে। অবশ্য তিনি সেটি করেছেনও, এশিয়া কাপে। এবার লিটনকে সেটি আরও ভালোভাবে করতে হবে।

লিটন অবশ্য তামিমের ভূমিকা নয়, নিজের ভূমিকা নিয়ে চিন্তিত, ‘আমি যে দলে নিয়মিত ছিলাম, তা না। তামিম ভাই নিয়মিত। তাঁর সঙ্গে সবাই যাওয়া-আসার মধ্যে ছিল। আমার নিয়মিত হওয়ার সুযোগ ছিল না। এবার আমার যে সঙ্গী (ওপেনিংয়ে) হবে, সেও নতুন হবে। আমিও নতুন। হ্যাঁ, আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে একটু ভালো জায়গায় আছি হয়তো। আগেও বলেছি, প্রতিটা ম্যাচ নির্ভর করে সেই দিন কেমন শুরু করছি সেটির ওপরে। হতে পারে পরের ম্যাচে শূন্য রানে আউট হতে পারি। আকাশছোঁয়া আত্মবিশ্বাসী হয়ে লাভ নেই।’ 

তবে এটা ঠিক, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করলে আত্মবিশ্বাসের পারদটা অনেক উঁচুতেই থাকে। সেই আত্মবিশ্বাস থেকে লিটন এশিয়া কাপের পর জাতীয় লিগে দুর্দান্ত একটা ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। ধারাবাহিক ছন্দ ধরে রাখার রহস্য বলতে গিয়ে লিটন মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টি বড় করে তুললেন, ‘ক্রিকেট সম্পূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক খেলা। মানুষ বলে, মন যত পরিষ্কার থাকবে তত ভালো খেলবেন। যেহেতু আগে ভালো খেলিনি। মনে নিজের সামর্থ্য নিয়ে একটু প্রশ্ন থাকেই। আর ভালো করার পর মানসিকভাবে একটু চাপ মুক্ত হওয়া যায়। এই জন্য হয়তো ভালো খেলছি।’

ভালো খেললে লিটন ‘মন পরিষ্কারে’র কথা বলছেন। কিন্তু এর বিপরীত দিকও তো আছে। তাঁর প্রতি বিপুল প্রত্যাশা তৈরি হওয়া। সেই চাপে আবার ভেঙে পড়বেন না তো লিটন? বাংলাদেশ দলের তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের ভালো জানা, এই চাপ কীভাবে সামলাতে হবে, ‘তা তো অবশ্যই। কিছু পেতে হলে কিছু দিতেও হবে। জানি যে আমাকে রান করতে হবে। দল চাইবে, যেহেতু আমি ভালো খেলেছি, সেটা যেন ধরে রাখি। চাপটা দুই দিক দিয়েই থাকবে।’-প্রথম আলো

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে