বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৭, ০১:৫২:৪৬

‘সারাদিন কি ও একাই বোলিং করবে নাকি!’

‘সারাদিন কি ও একাই বোলিং করবে নাকি!’

মাহিয়ান মিশুক: পন্টিংয়ের চোখে ‘সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং’ সতীর্থ গ্লেন ম্যাকগ্রা পন্টিংয়ের চোখে ‘সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং’ সতীর্থ গ্লেন ম্যাকগ্রা

সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক রিকি পন্টিং নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বপ্নের মত এক দলকে। সে দলের কোনো দুর্বলতা ছিলো না বললেই চলে। ল্যাঙ্গার, হেইডেন, গিলক্রিস্ট, ওয়ার্ন, ব্রেট লি'সহ সবাই মোটামুটি কিংবদন্তীতুল্য।

আর একঝাঁক লিজেন্ডকে দলে পেয়ে যাওয়ার ফলে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারটা বেশ সহজ হয়ে যাওয়া উচিত, অন্তত আপাতদৃষ্টিতে তো সেরকমই মনে হয়! কিন্তু কখনো কখনো সেটা বেশ কঠিনও হয়ে দাঁড়ায়।

অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে চলমান কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজের প্রাক্বালে মাইকেল ভনের সাথে আলাপচারিতায় পন্টিংকে জিজ্ঞেস করা হয়, তাঁর নেতৃত্বে খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে কাকে সামলাতে সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হয়েছে।

জবাবে যে নামটি তিনি বলেন, হয়তো দশটা নাম আন্দাজ করলেও সেটা আপনার মাথায় আসবে না। গ্লেন ম্যাকগ্রা!

পন্টিং বলেন, ‘শুনতে হয়তোবা কিছুটা কৌতুকের মতই শোনাবে, তবে আমার নেতৃত্বাধীনে খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেগ পেতে হয়েছে ম্যাকগ্রাকে সামলাতে গিয়ে।’

কিন্তু কীভাবে? ব্যাখ্যাটা তিনি দিয়েছেন বেশ মজা করেই। তিনি বলেন, ‘হয়তোবা অনেকেই এই ভেবে আরামে বসে থাকবে যে তাঁকে সামলানো খুবই সহজ কিছু। তাঁর হাতে স্রেফ বলটা তুলে দিলেই চলবে, বাকিটা সে-ই করে দেবে। হ্যা, অধিকাংশ সময়ই ব্যাপারটা এরকমই হতো। কিন্তু মাঝেমধ্যে বোলিং থেকে কিছুটা বিশ্রামও তো নিতে হয়! ধরুন আমি ওকে বোলিং বাদ দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বললাম। সে তখন যদি রোদ্দুরের মধ্যে হাতা গুটিয়ে এদিক-ওদিক হাঁটতে হাঁটতে ১০-১৫ মিনিট ধরে আমাকে সমানে গালি দিয়েই যেতে থাকতো, বোলিং করতে দিচ্ছি না যে! আচ্ছা বিপদ, সারাদিন কি ও একাই বোলিং করবে নাকি!’

তবে কৌতুক একপাশে সরিয়ে রেখে পন্টিং বলেন, ম্যাকগ্রার সাথে খেলা তাঁর নেতৃত্বাধীন ২৫ টেস্ট এবং ৯৬টি ওয়ানডে ম্যাচ তিনি প্রচন্ড উপভোগ করেছেন। দুজনে মিলিয়ে অবদান রেখেছেন পাঁচ অ্যাশেজ এবং তিন বিশ্বকাপ জয়েও।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে