নিউজ ডেস্ক : নরসিংদীতে বখা'টেদের হাত থেকে বাঁ'চতে নৌকা থেকে নদীতে ঝাঁ'প দিয়ে শ্লী'লতাহা'নি থেকে রক্ষা পেল ১০ম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রী। গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে নরসিংদীর সদর উপজেলার মাধবদী থানার দক্ষিণ চরভাসানিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। সে গোপালদী দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় মাধবদী থানায় একটি অভি'যোগ দায়ের করা হয়। এরপর থেকে আসামি পক্ষের অব্যাহত হু'মকিতে প্রা'ণ ভ'য়ে পা'লিয়ে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
জানা যায়, প্রায় কয়েক মাস ধরে একই এলাকার জালাল মিয়ার ছেলে মোক্তার ওই মেয়েটিকে উ'ত্য'ক্ত করে আসছিল। বিভিন্ন সময় তারা ওই মেয়েকে কু'প্রস্তা'বসহ নানান হু'মকি দিয়ে আসলেও ভ'য়ে তারা কারো কাছে না'লিশও করতে পারছিল না। গত মঙ্গলবার বিকালে মেয়েটি আড়াইহাজার থানার গোপালদী থেকে প্রাইভেট পড়ে নৌকায় করে চরভাসানিয়া ঘাটে এসে নামলে মোক্তার (২৫) সিফাত (২৬), ইব্রাহীম(২৮) তার পথ'রো'ধ করে। এক পর্যায়ে ব'খাটেরা মেয়েটিকে জো'র করে নৌকায় তুলে নেয়।
পরে সে সম্ভ্র'ম বাঁ'চাতে নদীতে লা'ফিয়ে পড়ে। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধা'র করে। এ বিষয়ে বখাটেদের বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় অভি'যোগ দায়ের করেন তার মা কহিনুর বেগম। অভিযোগের পর থেকে মোক্তার ও তার স'ন্ত্রা'সী বাহিনী ভুক্তভোগীর পরিবারকে প্রা'ণনা'শের হু'মকি দিয়ে আসছে।
এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দক্ষিণ চরভাসানিয়ায় ঘটনাস্থল গিয়ে পরিদর্শন করেন থানার উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন। তিনি জানান তারা ওই এলাকায় থাকাকালেই মোক্তারের দলবলেরা ওই মেয়ের পরিবারের লোকজনকে পা'কড়াও করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারটি প্রা'ণের ভ'য়ে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যের আশ্রয়ে রয়েছেন।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের দেওয়ান জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি অ'ভিযো'গ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।