নিউজ ডেস্ক : বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ আ'হ'ত অবস্থায় তার এক বন্ধুকে ফোন করলেও তিনি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তদন্তে পাওয়া গেছে এমন তথ্য।
ছাত্রলীগের তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ বলছেন, সেদিন রাতে (রবিবার) যারা এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছে তারা ম'দ পান করেছিলেন। তারা সবাই মা'রাত্ম'ক রকমের ড্রা’ঙ্ক ছিলেন। তাদের মধ্যে মানবিকতা বলে কিছুই ছিল না।
তিনি বলেন, তদন্তে পেয়েছি, ওই রাতে বার্সালোনার খেলা ছিল। পূজা থেকে এসে আবরারকে শারীরিক নি’র্যাত'নের পর তারা বার্সেলোনার খেলা দেখতে চলে গিয়েছিলেন। আবরার এ ফাঁকে তার এক বন্ধুকে ফোন করে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তার বন্ধু তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেননি। সে আসলে এমন একটি অ'পমৃ'ত্যু’র মতো ঘটনা নাও ঘটতে পারত।
সোমবার আবরার হ’ত্যাকা’ণ্ডের খবরে ইয়াজ আল রিয়াদের সঙ্গে সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদারকে দিয়ে এ তদন্ত কমিটি করে ছাত্রলীগ। তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সাধারণ শিক্ষার্থী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বে যারা আছেন সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করা হয়। এরপর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তারা।
বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারের ওপর নি’র্যাতন কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে। রবিবার রাত ৮টার দিকে হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নেওয়া হয় তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (সপ্তদশ ব্যাচ) শিক্ষার্থী আবরারকে। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনি কুষ্টিয়ার গ্রামের বাড়ি থেকে হলে ফেরেন।
এরপর রাত ২টার দিকে হলের সিঁড়িতে আবরারের লা’শ পাওয়া যায়। এই হ’ত্যাকা’ণ্ডে জড়িত অভিযোগে সোমবার বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ সংগঠনটির ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।