রবিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:৪৯:৩১

কিস্তি দিতে না পারায় গৃহবধূর আংটি-বদনা নিয়ে গেলো এনজিও

কিস্তি দিতে না পারায় গৃহবধূর আংটি-বদনা নিয়ে গেলো এনজিও

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : এনজিওর এক কর্মী পাস বইয়ে আংটি বাবদ আট হাজার ও বদনা বাবদ এক হাজার ৫০০ টাকা জমা করেছেন
বাগেরহাটের চিতলমারীতে একটি এনজিওর কর্মীদের বিরুদ্ধে শ্রাবণী হীরা (২২) নামের এক গৃহবধূর হাতের সোনার আংটি, নাকফুল ও পিতলের বদনা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

সময়মতো কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় ওই এনজিওর এক কর্মী পাস বইয়ে আংটি বাবদ আট হাজার ও বদনা বাবদ এক হাজার ৫০০ টাকা জমা করেছেন।

শনিবার (৮ নভেম্বর) ওই গৃহবধূর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে এনজিওটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি, গৃহবধূ খুশি হয়ে তাদের হাতে আংটি, নাকফুল ও বদনা তুলে দিয়েছেন; জোর করে নেওয়া হয়নি।

ভুক্তভোগী নারী উপজেলার আড়ুয়াবর্নী গ্রামের বাসিন্দা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে শ্রাবণী হীরা জানান, তিনি ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখা থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন। লাভসহ তার ৪৫ হাজার ১২০ টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু সামান্য কিছু টাকা বাকি থাকতে তার স্বামী রিপন কাজের জন্য এলাকার বাইরে যান। এরপর কয়েকটি কিস্তি খেলাপি হলে গত ২৯ অক্টোবর সকাল ১০ টায় এনজিওর কর্মীরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান।

অফিসে নিয়ে তাকে ও তার তিন বছরের কন্যা শিশুকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। পরে এনজিও কর্মী ও কর্মকর্তারা ফিল্ড থেকে ফিরে বিকেলে জোরপূর্বক শ্রাবণী হীরাকে দিয়ে দুটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেন। পরে জোর করে হাতের আংটি, নাকফুল ও পিতলের একটি বদনা নিয়ে ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়। এসময় তার শিশুটি ক্ষুধার জন্য ছটফট করছিল। ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলতে পারেননি।

এ বিষয়ে ডিএফইডির চিতলমারী শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ বলেন, ‘গৃহবধূ শ্রাবণীর কিস্তি খেলাপি ছিল। তার কাছ থেকে নাকফুল নেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখবো।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে