মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩, ১১:০৯:৩৭

থেমে থেমে গোলাগুলি!

থেমে থেমে গোলাগুলি!

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম মুলপি পাড়ায় পাহাড়ের দুই সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) এবং কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) নামের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে বলে জানা গেছে।  

রুমা থানার থানার পরিদর্শক তদন্ত মনির হোসেন জানান, মুলপি পাড়া এলাকায় গোলাগুলি হচ্ছে এমন তথ্য স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে কাদের কাদের মধ্যে এ সশস্ত্র সংঘর্ষ চলছে তা জানা যায়নি। নিশ্চিত হওয়া যায়নি এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কি না। 

এদিকে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, সোমবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে কয়েক রাউন্ড গোলাগুলি হয়ে থেমে যায়। মঙ্গলবার ভোর থেকে আবারও গোলাগুলি শুরু হয়। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত স্থানীয়রা থেমে থেমে গুলি বিনিময়ের শব্দ শুনেছেন স্থানীয়রা।

রুমা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার দূরে মারমা ও বম জনজাতি অধ্যুষিত মুলপি পাড়ায় একটি সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। ৭ এপ্রিল ‘ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক’-এর হাতে বম সম্প্রদায়ের আটজন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ‘কেএনএ’ মরিয়া হয়ে ওঠে। 

রুমা-রোয়াংছড়ি সড়কের মধ্যবর্তী খামতাং পাড়ায় এ ঘটনার পর ‘ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক’ গ্রুপ রোয়াংছড়ি উপজেলার শুক্রমণি পাড়া এবং ‘কেএনএ’র সশস্ত্র যোদ্ধারা মুলপি পাড়ায় ক্যাম্প গড়ে তোলে। এ অবস্থায় ২০ এপ্রিল ওই পাড়ার লোকজন পাড়া ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে আসে। 

পাড়ার বমরা আশ্রয় নিয়েছে আশপাশের বিভিন্ন বম পাড়ায় এবং ৪৯টি মারমা পরিবারের ২৩৬ শিশু ও নারী-পুরুষ পাড়া ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে রুমা উপজেলা সদরের মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে। এর আগে খামতাং পাড়ার খেয়াংরা রোয়াংছড়ি উপজেলা সদরে চলে আসে। পাইংক্ষ্যং পাড়ার বমরা চলে যায় রুমা বম কমিউনিটি সেন্টারে। তাদেরকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে মুলপি পাড়ায় ‘ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক’ এবং ‘কেএনএ’র মধ্যে গোলাগুলির খবরে আশপাশের এলাকাগুলোতে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা বম, মারমা এবং খেয়াং পরিবারের সদস্যরা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে