বরগুনা থেকে : বরগুনায় আলো'চিত রিফাত শরীফ হ'ত্যা মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বুধবার আরও তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। এ দিন মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ের কাবিনের সমর্থনে সাক্ষ্য দেন জান্নাতুল ফেরদৌস, নয়ন বন্ডের বাসার ভাড়াটিয়া হাবিবুল্লাহ ও আনোয়ারুল কবির।
রিফাত হ'ত্যার আগের দিনও মিন্নিকে নয়নের বাসায় যেতে দেখেছেন বলে তারা জানান। এ পর্যন্ত জেলা ও দায়রা আদালতে ৩১ এবং শিশু আদালতে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জে'রা সম্পন্ন হল। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় বরগুনা জেলা কারাগার হতে পুলিশ পাহারায় ৮ আসামিকে আদালতে উপস্থিত করা হয়।
জামিনে থাকা আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিও আদালতে উপস্থিত হয়। আসামি মুছা পলা'তক রয়েছে। সাক্ষ্য শেষে আসামিদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় এজলাসে বসেন জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান। আদালতে সাক্ষ্য দেন জান্নাতুল ফেরদৌস, নয়ন বন্ডের বাসার ভাড়াটিয়া হাবিবুল্লাহ ও আনোয়ারুল কবির।
সাক্ষ্য শেষে জান্নতুল ফেরদৌস বলেন, আমি যা দেখেছি তা আদালতে বলেছি। শুধু এটুকু বলতে পারি আদালতে কোনো অসত্য সাক্ষ্য দেইনি। আমার স্বামীর ঘর নয়ন বন্ডের ঘরের পাশে। নয়ন বন্ড ও আমার স্বামী সাইফুল ইসলাম বন্ধু।
সাক্ষী হাবিবুল্লাহ বলেন, আমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এক বছর আগে নয়ন বন্ডের বাসায় ভাড়া থাকি। ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর নয়ন ও মিন্নির সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মিন্নি কিছুদিন নয়নের বাড়িতে ছিল। এ ছাড়াও আর কিছু বলতে পারব না। তবে আমি যতটুকু জানি বা দেখেছি তা আদালতে বলেছি।
আনোয়ারুল কবির বলেন, আমরা নয়ন বন্ডের বাসায় ভাড়া থাকি। মিন্নিকে বিয়ে করে নয়ন বন্ড। পরে শুনতে পাই মিন্নি রিফাত শরীফ নামের একটি ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমাকে আইনজীবীরা জে'রা করেছেন। আমি যতটুকু জানি ততটুকু আদালতে বলেছি।
জানতে চাইলে মিন্নির পক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা কেউ বলেননি মিন্নি রিফাত শরীফ হ'ত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। তা ছাড়া আমরা কাবিননামা চ্যা'লে'ঞ্জ করেছি। ওই কাবিননামা মিন্নি-নয়ন বন্ডের নয়। কাবিননামা তৈরি করা।