বরগুনা থেকে : বরগুনার রিফাত শরীফ হ'ত্যা মামলার আসামি স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নির্দো'ষ প্রমাণের জন্য আট যু'ক্তি আদালতে উপস্থাপন করেছেন তার আইনজীবীরা। উপস্থাপন করা যু'ক্তি খ'ণ্ডনে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর দিন ধা'র্য করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মিন্নির পক্ষে-বিপক্ষে যু'ক্তিত'র্ক শেষ না হওয়ায় আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে উচ্চ আদালতের দেয়া মিন্নির জামিনের মেয়াদ।
রোববার (০৬ সেপ্টেম্বর) মিন্নিকে নির্দো'ষ প্রমাণের পক্ষে যু'ক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর মিন্নির বিপক্ষে যু'ক্তিত'র্ক উপস্থাপন করবেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। ওই দিন মিন্নির আইনজীবীদের উপস্থাপন করা যু'ক্তি খ'ণ্ড'ন করবেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর আদালত এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করবেন।
এ বিষয়ে মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, ভেবেছিলাম আজ মিন্নির পক্ষে-বিপক্ষে যু'ক্তিত'র্ক উপস্থাপন শেষ হবে। ফলে উচ্চ আদালতের দেয়া মিন্নির জামিনের মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে মিন্নিকে আমার জিম্মায় জামিনে নেয়ার জন্য আবেদন করার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের উপস্থাপিত যু'ক্তি খ'ণ্ডনের জন্য আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। যেহেতু মিন্নির পক্ষে-বিপক্ষে যু'ক্তিত'র্ক শেষ হয়নি সেহেতু জামিন বহাল আছে।
আদালত প্রাঙ্গণে মিন্নির আইনজীবী ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, হা'মলার পর গু'রুত'র আহ'ত রিফাত শরীফ একা একা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন, তদ'ন্ত প্রতিবে'দনে এটা উল্লেখ করা হলেও বাস্তবে মিন্নি নিজেই রিফাত শরীফকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। হাসপাতাল প্রাঙ্গণের সিসিটিভি ফু'টেজ এবং মামলার বাদী ও তার মেয়েসহ ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এটা আমরা আদালতকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। রিফাতের ওপর হা'মলার সময় নয়ন বন্ডকে ঝা'পটে ধ'রে মিন্নি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন হা'মলা থেকে রিফাতকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু এটাকে ভিন্নভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার ১৩ জন সাক্ষী প্রত্যেককে বলেছেন, মিন্নি রিফাতকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন এবং এজন্যই তিনি নয়ন বন্ডকে ঝা'পটে ধ'রেছেন।
আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, রিফাতের ওপর হা'মলার ঘট'নাস্থলের যে ভিডিও ফু'টেজ দেয়া হয়েছে সে ভিডিও ফুটেজটি ১১ টুক'রা। টু'করা টু'করা ভিডিও ফুটেজ দেয়ার কারণে রিফাতকে বাঁচানোর জন্য মিন্নি যে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন সেটি বা'দ পড়েছে। এটা আমরা আদালতের দৃষ্টিগো'চর করতে চেষ্টা করেছি। তদ'ন্ত প্রতিবে'দনে হ'ত্যাকা'ণ্ডের আগের দিন মিন্নির উপস্থিতিতে বরগুনা সরকারি কলেজ মাঠে পরিক'ল্পনার জন্য যে মিটিংয়ের কথা বলা হয়েছে; সে মিটিংয়ের কোনো ফুটে'জ তদ'ন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। ওই মিটিংয়ের কোনো প্রত্যক্ষদ'র্শীকে সাক্ষী রাখা হয়নি। সিসি ক্যামেরার আওতাভু'ক্ত থাকার পরও দেয়া হয়নি মিটিংয়ের কোনো ফুটেজ।
মিন্নির ১৬৪ ধা'রায় জ'বানব'ন্দি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিন্নিকে গ্রেফ'তারের পর যেদিন আদালতে নেয়া হয় সেদিন কোনো আইনজীবী না থাকায় আদালত তাকে এ হ'ত্যাকা'ণ্ড সম্পর্কে জানতে চান। তখন তিনি নিজেকে নির্দো'ষ দাবি করে হ'ত্যাকা'ণ্ডের বিচার চান। ঠিক এ ঘ'টনার দুইদিন পর একই আদালত মিন্নির ১৬৪ ধারায় স্বী'কারো'ক্তিমূলক জবা'নব'ন্দি গ্রহণ করেন। এটা আসলে স'ন্দে'হজনক। পুলিশ মিন্নির ওপর নির্যা'তন চালিয়ে স্বী'কারো'ক্তিমূলক জবা'নব'ন্দি নিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান আইনজীবী ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, মামলার তদ'ন্ত প্রতিবেদনে নয়ন বন্ডের বাসা থেকে মিন্নির ব্যবহৃত কিছু জিনিসপত্র উ'দ্ধারের কথা বলা হলো; এগুলোতে ফরে'নসিক রিপো'র্টে কোনো প্রতিবে'দন নেই। এর পক্ষে সাক্ষী রাখা হয়নি তদ'ন্ত প্রতিবেদনে। মামলার পর মিন্নির বাবার বাসা থেকে রিফাতের র'ক্তমা'খা জামা-কাপড় উ'দ্ধা'র করা হলেও তদন্ত প্রতিবে'দনে উল্লেখ করা হয়নি। এ উ'দ্ধারের ভিডিও ফুটে'জ থাকার পরও এগুলো তদ'ন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ না করা মানে আসামিকে ফাঁ'সানোর চে'ষ্টা করা। তাই এটা আমরা আদালতে ভিডিও ফুটে'জসহ উপস্থাপন করেছি। আমরা প্রত্যাশা করছি, মামলায় মিন্নি নি'র্দো'ষ প্রমাণিত হবে।