বরগুনা থেকে : বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হ'ত্যা মামলার আসামিরা আদালতের এজলাসে প্রবেশ করেন স্বাভাবিকভাবে। এরপর রায় ঘোষণা করা হলে তারা এজলাসেই কা'ন্নায় ভে'ঙে পড়েন বলে জানিয়েছেন আদালতে উপস্থিত থাকা কয়েকজন আইনজীবী। সেই সঙ্গে রায় শুনে কান্নায় ভে'ঙে পড়েন আদালতের বাইরে থাকা আসামিদের স্বজনরা।
ব্যতিক্রম ছিলেন ফাঁসির দ'ণ্ডপ্রা'প্ত আসামি মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী। রায়ের পর হাসতে হাসতে আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজনভ্যানে ওঠেন তিনি। এ সময় রিফাত ফরাজী বলেন, ''আমরা সব আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিলাম। অতীতে যা হয়েছে তা আল্লাহ করেছেন আর ভবিষ্যতে যা হবে সেটাও আল্লাহই করবেন।''
বুধবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে আদালত থেকে আসামিদের কারাগারে নেয়ার সময় প্রিজনভ্যানে ওঠার মুহূর্তে এসব কথা বলেন রিফাত ফরাজী। আশপাশে থাকা স্বজনদের কান্নার শব্দের অন্যদের বক্তব্য স্পষ্ট শোনা যায়নি। এ সময় শুধু আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন কাঁ'দছিলেন। অন্যদের হ'তা'শাগ্র'স্ত দেখা যায়।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ের মূল অংশ শোনার পরই আসামিরা হ'তা'শ হয়ে পড়েন। এজলাস থেকে আসামিদের জেলা কারাগারে নেয়ার সময়ও তাদের কাঁদতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত বহুল আলো'চিত বরগুনার রিফাত শরীফ হ'ত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁ'সির আদেশ দেন আদালত। একই মামলায় চারজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরি'মানা করেছেন আদালত। বুধবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।