বরগুনা থেকে : বরগুনার চাঞ্চল্যকর শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হ'ত্যা মামলায় আয়শা সিদ্দিকা ওরফে মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃ'ত্যুদ'ণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার রায়ের পর মিন্নিসহ ছয় আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগারের ক'নডে'ম সেলে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনা কারাগার থেকে মিন্নি তার বাবার সঙ্গে কথা বলে কান্নাকাটি করেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেল সুপার বলেন, এ মুহূর্তে বরগুনার কারাগারে নারী ব'ন্দিদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই কনডেম সেলে রয়েছে। সকাল ৯টায় তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছে। মিন্নি যখন কথা বলেছে তখন ফোনের কাছে আমাদের একজন ডিউটি করেন। তিনি বলেছেন মিন্নি কোনো কান্নাকাটি করেনি। সকাল ১০টার সময় অন্য পাঁচজন ফাঁ'সির আসামিও ফোনে কথা বলেছে।
তিনি বলেন, মিন্নি ব্যতীত বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে এখন অন্য কোনো নারীব'ন্দি নেই। এছাড়াও রিফাত হ'ত্যা মামলার অপর পাঁচজন দ'ণ্ডপ্রাপ্ত পুরুষ আসামিকেও ক'নডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই পাঁচজন ছাড়া বরগুনার কারাগারের ক'নডেম সেলে অন্য কোনো ব'ন্দিও নেই।
মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, বুধবার মিন্নিসহ ছয়জনের মৃ'ত্যুদ'ণ্ডের রায়ের পর তাদের বরগুনা কারাগারে নেয়া হয়েছে। সেখানে তাদের ক'নডে'ম সেলে রাখা হয়। সকাল ১০টার দিকে কারাগার থেকে মিন্নি আমার ও আমার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে। সে খুব কান্নাকাটি করেছে। কারাগারে মিন্নি ভালো নেই। তাকে একা একটি নি'র্জ'ন কক্ষে রাখা হয়েছে।
মিন্নির বাবা দাবি করেন, আমার মেয়ে নি'র্দো'ষ। একটি কুচ'ক্রী মহল ষ'ড়য'ন্ত্র করে তার মেয়েকে এ মামলায় ফাঁ'সিয়েছে। একটি প্রভা'বশা'লী মহলকে আ'ড়াল করার জন্যই এটা করা হয়েছে। আমি রায়ের কপি পাওয়ার আবেদন করেছি। এটি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে এ রায়ের বি'রু'দ্ধে আপিল করব। আমি আশাবাদী আমার মেয়ে উচ্চ আদালতে নি'র্দো'ষ প্রমাণিত হবে।