বরগুনা থেকে : বরগুনার বেতাগীতে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে সরিষামুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শিপন জোমাদ্দারকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতে তার পা ও হাতের হাড়-রগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সরিষামুড়ী ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
খবর পেয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যান পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীর। শিপন জোমাদ্দার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বরগুনা জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীরের আপন ভাগিনা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার সরিষামুড়ী ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি বাজারসংলগ্ন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দার। অনুষ্ঠান শেষে কালিকাবাড়ি বাজারে পৌঁছলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে তিনি গুরুতর জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. তারেক হাসান বলেন, আহত ইউপি চেয়ারম্যানের অবস্থা গুরুতর। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাম পায়ের হাড় ও ডান পায়ের রগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জখম হয়েছে তার ডান হাত। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বেতাগী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার খবর শুনেই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কারা তার ওপর হামলা চালিয়েছে তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া না গেলেও নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রতিপক্ষরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে আমাদের ধারণা। ইতোমধ্যে সন্দেহভাজনদের আটক করার জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।