নিজের মায়ের মুক্তির দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট করছেন ২ শিশুসন্তান। ঘটনাটি বরগুনা সদর উপজেলার ৫ নম্বর আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামে। ১৩ বছরের আলিফ আর আড়াই বছরের গালিফ জানিয়েছেন তাদের মায়ের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা থেকে উঠবেন।
আজ শনিবার সকাল থেকে বরগুনা টাউনহল চত্ত্বর ও পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে শিশু সন্তানেরা।
ছেলে আলিফ বলেন, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অনতিবিলম্বে মায়ের মুক্তি হোক। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিচার চাই। এ জন্য বরগুনা ১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
এ বিষয়ে গ্রেফতার গৃহবধূ অনিতা জামানের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মো: নজরুল ইসলাম বলেন, আমি অনিতা জামানের জামিনের জন্য বরগুনা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন
করেছি। ভার্চ্যুয়াল আদালতে রোববার জামিনের শুনানী হবে বলে আশা করছি। আদালত সন্তুষ্ট সাপেক্ষে জামিন দিবেন। অনিতার দু’টি শিশু সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদি আলেয়া বেগমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুন পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়ি আলেয়া বেগম বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি.আর ৩৪১/২০২১নং মামলা করেন। এ মামলায় দুই ছেলে ও বড় ছেলের স্ত্রীকে আসামি করা হয়ে। এর কয়েক দিন পরে শাশুড়ি আলেয়া বেগম দুই ছেলে পুত্রবধূ ও ১৩ বছরের নাতিসহ পাঁচজনকে আসামি করে একই আদালতে আরেকটি সি.আর ৩৭৮/২০২১ নম্বর মামলা করেন। মামলায় তিনি দাবি করেন তার বড় ছেলেরবউসহ অপর আসামিরা মারধর করেন।
এলাকাবাসী জানান, দু’টি মামলার ঘটনার সময় তার বড় ছেলে মনিরুজ্জামান জুয়েল গাজীপুরে তার কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম তারিকুল ইসলাম ও বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম টিটু নিজ উদ্ধোগে অসহায় বাচ্চাদের খাবার বিতরণ করেন। এছাড়া এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বরগুনার কোনো জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কোনো কর্তৃপক্ষই অসহায় শিশু দু’টির পাশে দাড়ায়নি।