বরগুনার আমতলীতে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৮) ধ'র্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে অপহরণকারী মারুফ ওরফে জিসানসহ পাঁচজনকে আসামি করে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী আমতলীতে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ল্যাব সহকারী পদে চাকরি করেন। বিভিন্ন সময় আমতলী পৌর শহরের সদর রোডের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান ওরফে নয়া মিয়া, যাঁকে সবাই সাহেব গার্মেন্টস নামে চেনে তাঁর বখাটে ছেলে মারুফ হোসেন জিসান ভিকটিমকে বিয়ে করবে বলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। জিসান নেশাগ্রস্ত ও বিবাহিত বলে কিশোরী রাজি না হলে তাঁকে জোরপূর্ব'ক বিয়ে করবে বলে হুমকি দিতে থাকে।
ঘটনার দিন গত ২১ নভেম্বর ভিকটিম তাঁর কর্মস্থল থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় আমতলী চৌরাস্তায় মূল অভিযুক্ত অপহরণকারী মারুফ ওরফে জিসানসহ তার অন্য এক সহযোগী গাড়িতে উঠে ভিকটিমের নাকের সামনে চেতনানাশক ওষুধযুক্ত রুমাল ধরে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধ'র্ষ'ণ করে।
ঘটনার দিন মেয়ে বাড়িতে না ফিরলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে আমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন মা। এরপর গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে ভিকটিমকে তাঁদের বাড়ির কাছে রাস্তায় ফেলে আবুল হোসেন হাওলাদার নামক এক ব্যক্তিকে মুঠোফোনে জানায়। মেয়ের মুখে ঘটনার বিস্তারিত শুনে ২০ ডিসেম্বর আমতলী থানায় এসে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে পরিবার।
মামলার বাদী ভিকটিমের মা বলেন, 'যে আমার মেয়ের এত বড় সর্বনাশ করেছে আমি তার বিচার চাই।'
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মূল অভিযুক্তসহ পাঁচজনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।