বুধবার, ০৯ মার্চ, ২০২২, ১১:১৩:৪৩

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই ১৫ দোকান, অক্ষত আল-কোরআন

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই ১৫ দোকান, অক্ষত আল-কোরআন

এমটি নিউজ ডেস্ক : গতকাল সোমবার রাত ১০ টার দিকে বরগুনা শহরের পশু হাসপতাল রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আগুনে পুড়ে চারটি ফার্মেসি, একটি আবাসিক হোটেল ও ছয়টি লেপ তোষকের দোকান এবং তিনটি বসতবাড়িসহ প্রায় ১৫টি ঘর পুড়ে গেছে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে সব পুড়ে ছাই হলেও অক্ষত রয়ে গেছে আল-কোরআন। এ ঘটনায় প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্হ ব্যাবসায়ীরা জানান। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী মোবারক বেডিংএর কালাম বলেন, প্রথমে আমাদের লেপ তোষকের দোকানের উপর থেকে আমি আগুন দেখতে পাই তখন দৌড়ে গিয়ে সবাইকে জানাই। তবে তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে বরগুনা সদর ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নেভাতে আসলে তাদের ইউনিটের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এতে উত্তেজিত জনতা ফায়ার সার্ভিসের গড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে। এসময় ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা তাদের গাড়ি নিরাপদে সরিয়ে রাখেন।

এরপর পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ, বরগুনার বেতাগী এবং নদী পাড় হয়ে পাথরঘাটা ও আমতলী ফায়ার সার্ভিসের মোট পাঁচটি ইউনিটের দুই ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বসতঘরসহ ১৫টি স্থাপনা ভস্মীভূত হয়। স্টার ফার্মেসীর মালিক মো. জাকারিয়া বলেন, আমার ফার্মেসীতে এক কোটি টাকার বেশী এবং মুন মেডিকেল ফার্মেসীর মালিক মুজাহিদ বলেন, আমার ফার্মেসীতে প্রায় ১ কোটি টাকার ওষুধ ছিল কিছু মাল সরাতে পেরেছি। মোট ৪ টি ফার্মেসি এবং খান হোটেলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে। ফার্মেসির ওষুধের ক্যামিকেল ও লেপ তোষকে আগুনের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দেয়।

এদিকে খবর পেয়ে রাতেই বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিয়া শারমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় সদর থানার অফিসার ইনচার্জসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা কাজে সহায়তা করেন। এসময় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনেই তারা বরগুনা সদর ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তাদের গাফেলতির কারণে ক্ষয়ক্ষতি বেশী হয়েছে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ইউনিটের ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পাঁচটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুড়ি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষনিকভাবে বলা সম্ভব নয় বলে জানান।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে