এমটি নিউজ ডেস্ক : বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের শাখারিয়া (ধর্মনারায়ণ) গ্রামের হতদরিদ্র পারভীন বেগম একসঙ্গে তিন ছেলের জন্ম দিয়েছেন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু ছেলে তিনটি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্কানু বিভাগে (নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মা পারভীন আব্দুল্লাহ ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন। মা ও শিশু তিনটি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। মা ও শিশুদের বাঁচাতে হলে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে উন্নত চিকিৎসা করানো খুবই কষ্টসাধ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন ইটভাটার শ্রমিক বাবা জাকির হোসেন।
তিন ছেলেশিশু জন্ম নেওয়ার খবরে আমতলীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আমতলীতে এই প্রথম কোনো মা তিন পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন।
জানা গেছে, উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের শাখারিয়া (ধর্মনারায়ণ) গ্রামের জাকির হোসেন দম্পতি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে দিনাতিপাত করছেন। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলেসন্তান রয়েছে। গত বছর পারভীন বেগম সন্তানসম্ভাবা হয়ে পরেন। দ্রুত ডা. আনোয়ার হোসেনের পরামর্শ নেন তিনি। পরে জানতে পারেন ওই নারীর ভ্রূণে তিনটি সন্তান রয়েছে।
এদিকে ৮ মাসের গর্ভাবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন পারভীন। শনিবার রাতে তাকে পটুয়াখালী আব্দুল্লাহ ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। ওই ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে তিনটি ছেলে শিশুর জন্ম দেন তিনি।
বাবা জাকির হোসেন কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, মোরতো খুশি হওয়ার কতা কিন্তু ক্যামনে মুই পাঁচটা গুড়াগাড়া পালমু। এ্যাহন পোতা তিনডা অসুস্থ, মোর বউ হেও অসুস্থ। মোড্ডে কোনো টাহা নাই। মুই কি দিয়া চারজনের চিকিৎসা হরমু। মুই প্রধানমমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ হগলেবেড্ড সাহায্য চাই। মোরো সবাই সাহায্য হরেন নইলে মুই মোর পোলা তিনডা বাঁচাইতে পারমু না।
ডা. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সিজারের মাধ্যমে তিন ছেলেশিশুর জন্ম দিয়েছেন পারভীন। কিন্তু শিশু তিনটির প্রাপ্ত বয়স হয়নি। তাদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্কানুতে (নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র) পাঠানো হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পক্ষে উন্নত চিকিৎসা খুবই কষ্টকর।