এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া পাতাকাটা গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামী আল আমিন মৃধার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিক অলিউল্লাহ গাজীর হাত ধরে স্ত্রী রুমা আক্তার পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় স্বামী মো. আল আমিন মৃধা আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন। তবে আদালতের বিচারক মো. আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন- তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চান্দখালী গ্রামের রিপন মৃধার মেয়ে রুমা বেগম ও আমতলী পৌর শহরের সিলভার ব্যবসায়ী আউয়াল গাজীর ছেলে অলিউল্লাহ গাজী। ভুক্তভোগী ব্যক্তি হলেন, আমতলী উপজেলার চাওড়া পাতাকাটা গ্রামের আব্দুল খালেক মৃধার প্রবাসী ছেলে আল আমিন মৃধা।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে আল আমিন মৃধার সঙ্গে রুমা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই আল আমিন দুবাই চলে যান। স্বামীর অবর্তমানে রুমা গাজীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে এ ঘটনা আত্মীয়স্বজনের মধ্যে জানাজানি হয়। স্ত্রীকে অনৈতিক পথ থেকে নিবৃত্ত করতে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়। তবে রুমা তার অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে ফিরে আসেননি। পরে ২০১৮ সালে আল আমিন দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে ব্যবসা শুরু করেন। গত রোববার রুমা স্বামীর ঘর থেকে নগদ দুই লাখ ২০ হাজার টাকা ও আট ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিক অলিউল্লার হাত ধরে পালিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে স্ত্রী রুমা আক্তার মোবাইল ফোনে টাকা ও স্বর্ণালংকার নেওয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, আল আমিন নামে আমি কাউকে চিনি না। আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। রুমার বাবা রিপন মৃধা জানান, ‘আল আমিন আমার মেয়ের স্বামী। এখন শুনতে পাচ্ছি মেয়ে জামাতাকে তালাক দিয়েছে’।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তদন্তকারী অফিসার রুপকুমার পাল জানান, আদালতের নথিপত্র পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।