মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৯:০৫:১৪

সিজারিয়ান অপারেশনে মা ও নবজাতকের মৃত্যু, পালিয়ে গেছে ডাক্তার, নার্সসহ স্টাফরা

সিজারিয়ান অপারেশনে মা ও নবজাতকের মৃত্যু, পালিয়ে গেছে ডাক্তার, নার্সসহ স্টাফরা

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বরগুনায় একটি নিবন্ধনহীন বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের পর মেঘলা আক্তার (১৯) নামের এক প্রসূতি নারী ও তার নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। 

বামনা উপজেলার সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ক্লিনিকে থাকা ডাক্তার, নার্সসহ স্টাফরা পালিয়ে গেছে। 

মেঘলা আক্তার বরগুনার বামনা উপজেলার ৩নং রামনা ইউনিয়নের বৈকালিন বাজার এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম তারেকের স্ত্রী ও একই উপজেলার ৪নং ডৌয়াতলা ইউনিয়নের গুদিঘাটা গ্রামের ছগীর হোসেন মেয়ে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে মেঘলার বাবা ছগির হোসেন ওই ক্লিনিকের মালিক ডৌয়াতলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে বামনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বামনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার মন্ডল।

এছাড়া মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান, বামনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তুষার মন্ডলের উপস্থিতিতে বামনা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারেক হাসান ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করে কাউকে না পেয়ে তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেন।

মৃত মেঘলার পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে মেঘলা আক্তারকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। 

পরে ওইদিনই রাতে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য তার শরীরে অ্যানেস্থেসিয়া পুশ করেন ওই ক্লিনিকের আবাসিক ডাক্তার সবুজ কুমার দাস। এরপর রাত পোনে ১১টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে প্রসূতি মেঘলা আক্তার এবং নবজাতকের মৃত্যু হয়। অ্যানেস্থেসিয়া পুশ ও অপারেশনে অভিজ্ঞ না হওয়ায় মেঘলা ও তার নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।

এ বিষয়ে বামনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার মন্ডল বলেন, প্রসূতি নারী ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. ফজলুল হক বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট থানাসহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এসময় ওই ক্লিনিকের কাউকে না পেয়ে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারসহ সকলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তারা। তবে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় ক্লিনিকটি তালা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও ওই ক্লিনিকের আইন অনুযায়ী কোনো লাইসেন্স নেই বলেও জানান তিনি। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে