বরিশাল : বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর জাল করে তৈরি করা প্রবেশপত্রের মাধ্যমে আগৈলঝাড়া উপজেলায় এক শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী ও তার অভিভাবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা বোডের্র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আনোয়ারুল আজিম বলেছেন, নির্বাহী কর্মকর্তার রিপোর্ট পেলেই অসাধু ওই চক্রটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, উপজেলার বাকাল নিরঞ্জন বৈরাগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুব্রত দাস টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ফরম পূরণ করতে পারেনি।
কিন্তু সুব্রত ফরম পূরণ না করলেও বোর্ডের একটি চক্রের মাধ্যমে ওই বিদ্যালয়ের প্যাড, প্রধান শিক্ষক পুলিন বিহারী জয়ধরের স্বাক্ষর ও সিল জালিয়াতি করে ফরম পূরণের অনুমতি প্রদানের কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট স্কুলে গিয়ে প্রদর্শন করে।
প্রধান শিক্ষকের জাল কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা বোর্ডকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস পৃথকভাবে শিক্ষা বোর্ড ও থানাকে লিখিতভাবে জালিয়াতির বিষয়টি জানান। পরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আনোয়ারুল আজিম শিক্ষার্থী সুব্রত দাসের প্রবেশপত্র বাতিল করার নির্দেশ দিলেও অসাধু চক্রের হাত ধরে সুব্রতর নামে কর্মকর্তাদের নামের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের নিয়মিত ছাত্র হিসেবে প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়।
সুব্রত জানায়, টেস্ট পরীক্ষায় সে ফেল করেছিল। জালিয়াতির বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। প্রবেশপত্রসহ কাগজপত্র সম্পর্কে তার মা সবিতা দাস জানেন। তাৎক্ষণিকভাবে সবিতাকে সেখানে হাজির করলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম বলে দেন।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তার রিপোর্ট পাওয়ার পরে অসাধু চক্রটি ধরতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরকম ঝালকাঠিতে ১০টি ও পাথরঘাটায় ২৮টি প্রবেশপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিলেও অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরে তাদের ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করে আইনের আওতায় আনা হবে।