ভোলার বোরহানউদ্দিনে ‘তৌহিদি জনতা’র সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন নিহ'ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আহ'ত হন পুলিশসহ অর্ধশতাধিক মানুষ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেসবুকে মহানবী (স.) নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে রোববার বেলা ১১টায় বোরহানউদ্দিন হাইস্কুল মাঠে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নিতে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে কয়েক হাজার লোক একত্রিত হয়ে ‘নবী অবমাননা’ ও ‘আল্লাহ-কে নিয়ে কটূক্তিকারীর ফাঁসি চাই’- এমন স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই তা শেষ করতে তাগাদা দেন পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘ'র্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গু'লি ছোড়ে। এতে সাংবাদিক-পুলিশসহ আহ'ত হন অর্ধশতাধিক। আহতদের বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন- মিজান (৪০) ও মাফুজ পাটোয়ারি (৪৫)। অপরজন মারা যান ভোলা সদর হাসপাতালে। এছাড়া দুপুর আড়াইটার দিকে আব্দুল গণি নামের আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ভোলার সিভিল সার্জন রথীন্দ্রনাথ মজুমদার চারজন নিহ'তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজনের মরদে'হ এবং সদর হাসপাতালে নাম না জানা এক ব্যক্তির ম'রদে'হ রাখা হয়েছে। পরে আব্দুল গণি নামের আরও একজনের মৃ'ত্যু হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আহতদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সারও চারজনের মৃ'ত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অনুমতি ছাড়াই তারা সমাবেশ করতে চেয়েছিল। আমরা তাদের দ্রুত শেষ করতে বলি। কিন্তু তারা কথা না শুনে উল্টো আমাদের ওপর হাম'লা চালায়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গু'লি ছুড়তে বাধ্য হই আমরা।