বগুড়া থেকে : স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৪৩ দিন কারাভোগ শেষে জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশের আলোচিত সমালোচিত অভিনেতা হিরো আলম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার হিরো আলমের পক্ষে করা জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এই ৪৩ দিন জেল হাজতে কেমন ছিলেন হিরো আলম?
জবাবে তিনি বলেন, আমাকে দাগি আসামিদের সেলে রাখা হয়েছিল। তবে কারারক্ষীরা সবাই ভালো ব্যবহার করেছে। খাবার দাবারের খেয়াল রেখেছে। তবে সন্ধ্যার পর একাকীত্ব কাটাতে ২টী গান লিখেছেন বলে জানান তিনি।
৪৩ দিন কারাভোগ শেষে জামিনে বের হয়েই নিজের ইচ্ছার কথা জানান হিরো আলম। এবার উপনির্বাচনে সাংসদ প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বগুড়া -৪ আসনে দাঁড়াবেন তিনি।
গণমাধ্যমে তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বগুড়া -৪ আসন (কাহালু -নন্দীগ্রাম) থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন, উপনির্বাচনে? হিরো আলম জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়বেন তিনি।
কারণ হিসাবে তিনি বলেন, বিএনপি তো সংসদে এমপি হিসাবে শপথ নেবে না। তাছাড়া উপনির্বাচনেও তাদের দেখা যাচ্ছে না। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া ছাড়া কোনো উপায় দেখছেন না তিনি।
স্ত্রীকে মারধরের দায়ে এক মাসের বেশি কারাভোগ করা প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপর নির্বাচনে প্রভাব পড়বে কী! এমন প্রশ্ন আসতেই পারে।
এ বিষয়ে হিরো আলম আগেভাগেই পরিস্কার করে দেন, আমি রাজনৈতিক মারপ্যাচের শিকার। স্ত্রীকে দুটো চড় মারাতেই এক মাস আটদিন জেল হাজতে থাকতে হয়েছে আমাকে। এ দেশে এমন ঘটনা বিরল। এমন ঝগড়া তো প্রতি পরিবারেই ঘটে।
রাজনৈতিক যড়যন্ত্রের শিকার হয়েই মিথ্যা বানোয়াট মামলায় কারাভোগ করেছেন বলে দাবি করে হিরো আলম। তাকে নিয়ে কেন এমন রাজনৈতিক যড়যন্ত্র চলবে প্রশ্নে তিনি জানান, আমি বগুড়া -৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলাম। এটিকে কেন্দ্র করে রাজনীতি।