নিউজ ডেস্ক: সম্পর্কে তারা চাচী ও ভাতিজা। একপর্যায়ে তারা অসম ও অবৈধ পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাদের এই অসম ও অবৈধ প্রণয়লীলা একপর্যায়ে ফাঁস হয়ে যায়। আর এরপরই একসাথে আত্মহত্যা করেছেন তারা। রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের গাংনগর মাঝপাড়া গ্রামে।
নিহত চাচীর নাম চৈতী রাণী (৩২) এবং তার ভাতিজা ও পরকীয়া প্রেমিক কনক চন্দ্র রায় (২২)। তাদের পরকীয়া প্রেমের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় তারা দু’জনে একসাথে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাটক্ষেতে গ্যাসের ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করে।
স্থানীয় সৈয়দপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন তৌফিক জানান, দুই সন্তানের জননী চৈতী রানী (৩২) মাঝপাড়া গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সুবন্ধু রায়ের স্ত্রী। একই মহল্লার বাসিন্দা অমল চন্দ্র রায়ের পুত্র কনক চন্দ্র রায় (২২) এর সাথে আত্মীয়তা সূত্রে চৈতী রানী অবৈধ প্রনয়লীলায় জড়িয়ে পড়ে। সুবন্ধু রায় কনকের বাবার আপন ছোট ভাই। চৈতী রানী ও কনক দাসের মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবৎ এ সম্পর্ক চলে আসছিল। তারা সম্পর্কে চাচী এবং ভাতিজা হওয়ায় শুরুর দিকে তাদের মেলামেশা প্রতিবেশীরা কেউ সন্দেহের চোখে দেখেনি। কয়েক দিন আগে দুজনের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হয়। আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে তারা।
এরপর চৈতী রানীর গর্ভে জন্ম নেয়া দুই সন্তানও ভাতিজা কনকের বলে স্বীকার করে চৈতী। এ নিয়ে উভয়ের পরিবার থেকে তাদের শাসন করা হয়। সম্প্রতি পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনরা তাদের বিভিন্ন ভাবে অপমান অপদস্ত করতে থাকে। এরই জের ধরে দু’জনে একসাথে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। রোববার রাতে চৈতী রানী এবং কনক ঘর থেকে বের হয়ে যায়।
পরে রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় তারা দু’জনে একসাথে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাটক্ষেতে ইঁদুর নিধন ও পুকুরে ব্যবহারযোগ্য গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে। মুহুর্তেই গ্যাস ট্যাবলেটের প্রতিক্রিয়া শুরু হলে চৈতী ও কনক ছটফট করতে থাকে। ঘটনা বুঝতে পেরে পাড়া প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতির মধ্যেই মারা যায় তারা।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, সোমবার নিহত দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।