ধুনট (বগুড়া) : বগুড়ার ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার মধ্যবার্ষিক পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দিয়েছেন একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষক। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে পরীক্ষা বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়সূত্রে জানা যায়, ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে মধ্যবার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার সকাল ১০টায় ওই বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার নবম শ্রেণির গণিত ১ ও দশম শ্রেণির গণিত ২ পরীক্ষায় প্রায় ৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পরই শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন ও রিক্তা আক্তার প্রায় ৫০ জন ছাত্রের মাথার আংশিক চুল কেটে দেন। চুল কাটার সময় ছাত্রদের মারধরের ঘটনাও ঘটে।
মাথার চুল কর্তন করা শিক্ষার্থী জিসান, আশিক, অন্তর, নাহিদ, রায়হান, সোহাগ ও রবিউল জানায়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পর সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন ও রিক্তা আক্তার শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে কাঁচি দিয়ে জোরপূর্বক মাথার চুল কেটে দেয়। এ সময় প্রতিবাদ করলে ছাত্রদের মারধরও করেন তারা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়েই হল থেকে বেরিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় একটি সুশৃঙ্খল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে ছাত্রদের পাঠদানের পাশাপাশি জীবন গঠন, নৈতিক শিক্ষা দান করা হয়। বিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্ররা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। কিন্তু কারিগরি শাখায় বেশ কিছু অনিয়মিত শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা শুধু পরীক্ষার সময় বিদ্যালয়ে আসে। তাদের অনেকের মাথার চুল অনেক লম্বা, বিদ্যালয়ের ড্রেস ব্যবহার করে না।
অনেকে বখাটের মতো স্কুলে পরীক্ষা দিতে চলে আসে। পরীক্ষার প্রথম দিনই তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর মাথার চুল ছোট করে কাটার জন্য তাদের সময় দেওয়া হয়। কিন্তু তারা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মানেনি। এ কারণে শনিবার কিছু সংখ্যক ছাত্রের মাথার লম্বা চুলের আংশিক কেটে দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা চুল ছোট করতে বাধ্য হয়।
ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ্ হেল বাকী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা একটা দুঃখজনক ঘটনা। তবে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম জিন্নাহ জানান, এ বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।