বগুড়া: বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা বিশালদেহী ষাঁড় বাহাদুর’। কোরবানির হাটে পোষ্যটিকে বিক্রির জন্য নামিয়েছেন আবদুল মমিন হোসেন। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের এক ব্যক্তি বাহাদুরকে পছন্দ করে আট লাখ টাকা দাম বললে বিক্রি করেননি মমিন। দাম চাইছেন ১৫ লাখ টাকা।
শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের সাত আনা গ্রামের আবদুল মমিন শখ করে জয়পুরহাট থেকে অস্ট্রেলিয়ান জাতের এ কালো ষাঁড়টি কেনেন। গত দুবছর ধরে পরম মমতায় লালন-পালন শুরু করেন। নাম রাখেন বাহাদুর।
মমিন জানান, বাহাদুরকে দেশীয় প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে। বাহাদুরের খাবারের মধ্যে রয়েছে ভুসি, ছোলা, ধানের কুঁড়া, খড় ও ঘাস। এ ছাড়া মাঝে মধ্যে বিচি কলাও খাইয়েছেন। আর প্রতিদিন গোসল করানো হয় শ্যাম্পু দিয়ে। চার বছর বয়সি বাহাদুরের ওজন বর্তমানে প্রায় এক হাজার কেজি অর্থ্যাৎ ২৫ মণ।
এবার কোরবানিতে এ উপজেলায় বাহাদুরই সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু বলে দাবি করছেন মালিক আব্দুল মমিন।
বাহাদুরের চিকিৎসক আজিজার রহমান জানান, বাহাদুরকে কোনো প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ সেবন করিয়ে মোটাতাজা করা হয়নি। তাছাড়া খুব একটা রোগ বালাই ছিল না ষাঁড়টির শরীরে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, দুইটি সিলিং ফ্যানের নিচে বাহাদুর দাঁড়িয়ে ঘাস খাচ্ছে। ভ্যাপসা গরমের কারণে তার গায়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। এদিকে, বিশালদেহী বাহাদুরকে দেখতে শত শত মানুষ প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় করছেন।