বগুড়া: ইরাক প্রবাসীর টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে ৫ বছরের কন্যা সন্তানসহ পরকী'য়া প্রেমিকের হাত ধরে মুনিরা আক্তার মুন্নি (২২) নামের এক গৃহবধূ পা'লিয়ে যাওয়ার অ'ভিযো'গ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কামুল্যা গ্রামে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) থানায় ওই গৃহবধুর ছবিসহ সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। প্রবাসীর স্ত্রী সন্তানের সন্ধানের জন্য দেশের প্রতিটি থানায় বার্তা পাঠাচ্ছে পুলিশ।
প্রবাসীর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামুল্যা গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে প্রবাসী এনামুল হকের সাথে প্রায় ১০ বছরপূর্বে পারিবারিক প্রস্তাবে শেরপুর উপজেলার বাগড়া গ্রামের মাসুদ রানার কন্যা মুনিরা আক্তার মুন্নির বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাঁদের লামিয়া আক্তার (৫) কন্যা সন্তান রয়েছে। ভালোই কাটছিল সুখের সংসার।
স্ত্রী-সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে গত ২০১৮ সালে দেশ ছেড়ে প্রবাসে চলে যান এনামুল। স্বামী প্রবাসে পরিশ্রম করে প্রতিমাসে স্ত্রী মুন্নির ব্যাংক এ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান। স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে একাধিক পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী মুন্নি। একপর্যায়ে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি নাকের চিকিৎসার কথা বলে ঘর থেকে বেড়িয়ে স্বামীর পাঠানো গচ্ছিত ৬ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে ৫ বছরের কন্যা সন্তানসহ জনৈক এক পরকি'য়া প্রেমিকের হাত ধ'রে পা'লিয়েছে এই গৃহবধু। ছেলের স্ত্রী সন্তানের সন্ধান না পেয়ে নন্দীগ্রাম থানায় সাধারণ ডায়েরী নং ৮৯০ দায়ের করেছেন প্রবাসীর পিতা ইয়াছিন আলী।
প্রবাসীর ভাই মানিক বলেন, স্ত্রী সন্তানের সুখের জন্য আমার ভাই (প্রবাসী এনামুল) দেড় বছর পূর্ব থেকে ইরাকে থাকে। প্রবাসে দিনরাত পরিশ্রম করে প্রতিমাসে স্ত্রীর ব্যাংক এ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছে। নিয়তি এতোটাই নির্ম'ম, আমার ভাইয়ের পরিশ্রম আর সংসারের সুখ হা'রিয়ে গেল। স্বামীর পরিশ্রমের কথা একটিবারও চিন্তা করেনি মুন্নি। শিশু কন্যার ভবিষ্যতের কথা পর্যন্ত ভাবেনি, বাচ্চাটাকেও নিয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) শওকত কবির বলেন, এ ঘটনায় থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। প্রবাসীর স্ত্রী সন্তানের সন্ধানের জন্য দেশের প্রতিটি থানায় বার্তা পাঠানো হচ্ছে।